এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম - অষ্টম শ্রেণি - সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম - অষ্টম শ্রেণি - সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF) | Ebarer songram shadhinotar songram : Creative Questions and Answers
Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম - অষ্টম শ্রেণি - সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF) | Ebarer songram shadhinotar songram : Creative Questions and Answers - Class VIII


এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম


প্রশ্ন -১: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


গণতন্ত্র যা অহিংসার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে সবারই সমান স্বাধীনতা থাকে। যেখানে প্রত্যেকেই হবে তার জগৎ-নিয়ন্তা। এটাই সেই গণতন্ত্র যাতে আপনাদের আজ অংশগ্রহণ করতে আহব্বান জানাচ্ছি। একদিন আপনারা বুঝতে পারবেন, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে পার্থক্য ভুলে যাওয়া এবং আপনারা আপনাদের শুধু মানুষ মনে করবেন এবং সবাই একত্র হয়ে স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্রতী হবেন।

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত তারিখে?

খ. ‘বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর।

ঘ.উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণভাব ধারণ করে-মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

 

     ১নং প্রশ্নের উত্তর     

 

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ।

 

খ. আলোচ্য অংশে বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অধিকার আদায়ের বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে।

 ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলার জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা নানাভাবে শোষিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছিল। এদেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয় রাজপথে। হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে ধাপে ধাপে বাঙালি আদায় করে তার ন্যায্য অধিকার। তাই বাংলার ইতিহাসকে রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস বলা হয়েছে।

 

গ. উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের জাতীয়তাবোধের চেতনা ও স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহব্বানের দিকটি ফুটে উঠেছে।

 

 এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় দেখা যায় বাঙালির মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণ দেন। তাঁর এ ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির দিকনির্দেশনামূলক। এ ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি ও স্বাধিকার চেতনার প্রেরণার দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

 

 উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণেও সবার এক সঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। তিনিও ধর্মের বিভেদ ভুলে সবাইকে শুধু মানুষ পরিচয়ে দেশ স্বাধীন করার আন্দোলনে ব্রতী হওয়ার কথা বলেছেন। যেকোনো দেশকে শত্রুমুক্ত করতে হলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। তাই মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সবাইকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের আহব্বান করা হয়েছে। জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সবার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের যে আহব্বান জানান তা উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণেও ফুটে উঠেছে।

 

ঘ. উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে’ মন্তব্যটি যথার্থ নয়।

 

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশপ্রেমের চেতনার কথা ফুটে উঠেছে এ ভাষণ ছিল বাঙালির দাবি আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করার মূলমন্ত্র। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে,   ত্রুপক্ষকে পরাজিত করতে এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ভাষণটিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর নিরবচ্ছিন্ন সাধনার কথা স্থান পেয়েছে।

 

উদ্দীপকে শুধু মহাত্মা গান্ধীর স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিই প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ ভুলে স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্রতী হওয়ার আহব্বান জানানো হয়েছে। স্বাধীন বাঙালি জাতি ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর উচ্চারণ ছিল দিকনির্দেশনাপূর্ণ যা মহাত্মা গান্ধীর বক্তব্যের চেয়েও সুস্পষ্ট। উদ্দীপকে জাতীয়তাবোধের ব্যাপারটি আলোচ্য ভাষণটিতে প্রকাশ পেলেও অন্যান্য বিষয় এখানে অনুপস্থিত।

 তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণভাব ধারণ করে না।

 

আরো পড়ুন: অতিথির স্মৃতি : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - অষ্টম শ্রেণি


প্রশ্ন -২: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ নূপুরের বাবা মনোযোগের সাথে শুনছিলেন। এদিকে নূপুরের মা ব্যস্ত হয়ে উঠছিলেন হিন্দি সিরিয়ালের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে বলে। বাবা তখন সবার সামনে ভাষণটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করলেন। বললেন, পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার শিকল ভাঙার মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল ঐ ভাষণে। আজকের বাংলাদেশ ঐ ভাষণের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ক. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে কোন দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে?      

খ. “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।       

গ. উদ্দীপকে যে ভাষণের কথা বলা হয়েছে “এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের ভাষণ সম্পর্কে নূপুরের বাবার মন্তব্য কতটা সমর্থনযোগ্য? “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” -এ উক্তির আলোকে তা মূল্যায়ন কর।            

    

 

 ২নং প্রশ্নের উত্তর     


ক. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

 

খ. সাতই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করে।

 বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, সশস্ত্র যুদ্ধ ছাড়া বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে বঙ্গবন্ধু সেই আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের আভাস দিয়ে দিলেন, যাতে প্রত্যেক বাঙালি সশস্ত্র লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

 

গ.  উদ্দীপকে যে ভাষণের কথা বলা হয়েছে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ -এ সে ভাষণটিই পরিপূর্ণ তুলে ধরা হয়েছে।

 

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল একটি ঐতিহাসিক সংগ্রামী ভাষণ। এ ভাষণটি ছিল সাত কোটি বাঙালির প্রাণের বহিঃপ্রকাশ। আবেগে, বক্তব্যে, দিকনিদের্শনায় এটি একটি অনবদ্য এক ভাষণে। প্রায় দশ লক্ষ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ভাষণ মুহ‚র্তের মধ্যে সমস্ত বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জুগিয়েছিল। এ ভাষণের প্রভাব ছিল ব্যাপক ও বিস্তৃত।

 উদ্দীপকে নূপুরের বাবা তার স্ত্রীকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব বুঝিয়ে বললেন। কারণ সে ভাষণ ছিল বাঙালির জেগে ওঠার অগ্নিমন্ত্র। পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার শিকল ভাঙার মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল এ ভাষণে। আজকের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী ভাষণের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকের ভাষণ সম্পর্কে নূপুরের বাবার মন্তব্য আমি পূর্ণ সমর্থন করি।

 

 এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য বাঙালি জাতিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের আহব্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে, নিজের যা কিছু আছে তাই নিয়ে অত্যাচারী শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেন।

 

বাঙালি জাতির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ হতে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এই ধারাবাহিকতায় ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু জনগণের উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তাঁর বজ্রকণ্ঠের সেই আহব্বান মুক্তিপাগল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর আহব্বানে বাংলার মানুষ মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

 

 উল্লিখিত আলোচনা শেষে বলা যায়, একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ের সূচনা ঘটেছিল ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাই উদ্দীপকের নূপুরের বাবার উক্তি “আজকের বাংলাদেশ ওই ভাষণের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে” এটি একটুও অত্যুক্তি বলে আমি মনে করি না।

 

 আরো পড়ুন: তৈলচিত্রের ভূত - সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - অষ্টম শ্রেণি (PDF)

 

প্রশ্ন -৩: নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


 শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,

 রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে

 অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন

  ... ... ...

 সকল দুয়ার খোলা, কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?

 গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তার

             অমর কবিতাখানি।

 এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,

 এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

ক. ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কত লোক উপস্থিত হয়েছিল?      

খ. ‘আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।’ - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথাটি কেন বলেছিলেন?

গ. উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের কতটুকু ফুটে উঠেছে? - ব্যাখ্যা কর।   

ঘ. উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের অনেকাংশ অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। - উক্তিটি মূল্যায়ন কর। 

 

  

   ৩নং প্রশ্নের উত্তর     

 

ক. ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লক্ষ লোক উপস্থিত হয়েছিল।

 

খ. সারাদেশে গণহত্যায় দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বক্তব্যের শুরুতে উক্ত কথাটি বলেছিলেন।

 নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা গণহত্যা চালিয়ে সারাদেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়। দেশের সর্বত্র ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে। এ পরিস্থিতে বাঙালির প্রিয় নেতার মন ভালো নেই বলে তিনি অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত ও ব্যথিত।

 

গ.  উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের আংশিক ভাব ফুটে উঠেছে।

 

 বাঙালি জাতির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ২রা মার্চ হতে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এই ধারাবাহিকতায় ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু জনগণের উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তাঁর বজ্রকণ্ঠের সেই আহব্বান মুক্তিপাগল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর আহব্বানে বাংলার মানুষ মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

 

উদ্দীপকের কবি একটি দৃশ্যকল্প রচনা করেছেন সেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত কবির মতো একজন সংগ্রামী মানুষের আপেক্ষিক তুলনা করা হয়েছে। সেই অধিকার সচেতন মুক্তিকামী মানুষটিকেও এক কবি রূপেই কল্পনা করা হয়েছে। তিনি দৃপ্ত পায়ে মঞ্চে উপবিষ্ট হয়ে তার বিখ্যাত কবিতা বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন। এবারের সংগ্রাম ......... স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই রূপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। উদ্দীপকে আলোচ্য প্রবন্ধের বঙ্গবন্ধু কর্তৃক মঞ্চে যে জ্বালাময়ী ভাষণ দেওয়া হয়েছিল শুধু সে বিষয়টি আংশিক ফুটে উঠেছে।

 

ঘ. “উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের অনেকাংশ অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।”- উক্তিটি যথাযথ।

 

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য বাঙালি জাতিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের আহব্বান জানিয়েছেন। ৭ই মার্চের সেই ভাষণ ছিল একটি ঐতিহাসিক সংগ্রামী ভাষণ। এটি ছিল সাত কোটি বাঙালির প্রাণের আবেদন। আবেগে, বক্তব্যে এবং নির্দেশনায় অনবদ্য এ ভাষণে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা পেয়েছিল।

 উদ্দীপকে একজন রূপকধর্মী মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যিনি রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পদক্ষেপে হেঁটে জনতার সামনে উপস্থিত হয়েছেন। জনতা মঞ্চ কাঁপিয়ে দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারিত বাণী মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছে। তার অমর কবিতাটি ছিল সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহব্বান।

 উদ্দীপকটিতে ৭ই মার্চের ভাষণের পটভ‚মি আলোচিত হয়েছে যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কবিরূপে কল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু মূল গল্পটিতে ৭ই মার্চের ভাষণ আলোচিত হলেও এর পেছনে বাঙালির ২৩ বছরের শাসন, শোষণ, আত্মত্যাগ সবকিছুই ফুটে উঠেছে। যার ফলশ্রæতিতে এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার সংগ্রাম, এই বিষয়গুলো উদ্দীপকে অনুপস্থিত, তাই বলা যায় যে উদ্দীপকে “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” প্রবন্ধের অনেকাংশই প্রকাশিত হয়নি।


আরো পড়ুন: পড়ে পাওয়া গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর - অষ্টম শ্রেণি (PDF)

প্রশ্ন -৪:  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে;

রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে

অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।

*   *   *    *

কে রোধে তাঁর বজ্রকণ্ঠ বাণী?

গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি;

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

ক. কত সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল?         

খ. ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’-এ আহব্বান করা হয়েছিল কেন?       

গ. উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটির সাথে কিভাবে সম্পর্কিত-বিশ্লেষণ কর।   

ঘ.‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই মূলত স্বাধীনতার আহব্বান’-উদ্দীপক ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর।            

 

 

    ৪নং প্রশ্নের উত্তর     

 

ক. ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।

 

খ. পাকিস্তানিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেছিলেন।

 দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা ও নির্যাতনের শিকার বাঙালিরা নিজেদের অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক করতে চেয়েছিলেন, যাতে সম্মিলিতভাবে পাক শাসকদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যায়। তাই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহব্বান জানান।

 

গ. বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখানোর বিষয়টিতে উদ্দীপক ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটি সম্পর্কিত।

 

বঙ্গবন্ধুর অগ্নিমন্ত্রে নিহিত ছিল পরাধীন জাতির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্য। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক এবং প্রবন্ধ উভয়টিতেই বাঙালির স্বাধীনতার বীজমন্ত্র উচ্চারিত হয়েছে। ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে রচিত। ৭ই মার্চ তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির পথ দেখানোর ভাষণ দিয়েছিলেন। তাঁর বজ্রকণ্ঠ শুনে সমগ্র জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল মাতৃভ‚মি রক্ষার্থে।

 

উদ্দীপকেও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর বজ্রকণ্ঠ শোনার জন্য সেদিন অধীর আগ্রহে বসেছিল সমগ্র জাতি। লাখ লাখ মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তিনি জনতার মঞ্চে এসে বাঙালির দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণটি প্রদান করেন। তার দেখানো পথে বাঙালি সেদিন হেঁটেছিল বলেই ছিনিয়ে আনতে পেরেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও প্রবন্ধটি বাঙালি জাতির মুক্তির দিকনির্দেশিকার বিষয়টিতে সম্পর্কিত।

 

ঘ. ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই মূলত স্বাধীনতার আহব্বান’-উদ্দীপক ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি যথার্থ।

 

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপটে রচিত। এ ভাষণটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা বঙ্গবন্ধুর এই ৭ই মার্চের ভাষণের ভিতরই নিহিত ছিল এদেশের স্বাধীনতার বীজমন্ত্র। দেশ ভাগের পর থেকেই পাকিস্তানিরা বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করে আসছিল। তাদের শোষণ-বঞ্চনা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতিকে সোচ্চার করে তোলেন।

 

উদ্দীপকেও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। মূলত এই ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করেই এদেশের স্বাধীনতার পথ সুগম হয়। বঙ্গবন্ধু খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন পাক শোষকদের রুখতে যুদ্ধের বিকল্প নেই। এ কারণেই তিনি ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা যুদ্ধের আহব্বান করেছিলেন। দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে মুক্তির অমর কবিতাখানি শুনিয়েছিলেন -‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

 

৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই এদেশের স্বাধীনতার মূল আহব্বান। বঙ্গবন্ধুর এই অসামান্য অবদান ও কৃতিত্বের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন ও মুক্ত; যা উদ্দীপক ও আলোচ্য প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে।

 তাই সংগত কারণেই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।

 

 

 

প্রশ্ন -৫:   নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা সারাজীবনই সংগ্রাম করেছেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। এ কারণে তিনি জেল, জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হন। সাতাশটি বছর তিনি ছিলেন কারা অভ্যন্তরে। কিন্তু, শেষাবধি তিনি বিজয়ী হন। মানবতা ও স্বাধীনতার কেতন উড়িয়ে দেন স্বদেশের আকাশে।

ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী?         

খ. ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়েছে কেন?      

গ. নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে বঙ্গবন্ধুর কোন কোন গুণের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়, তা উদ্দীপকটির ভাব অনুসারে ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.‘মানবতা ও স্বাধীনতার কেতন উড়িয়ে দেয় স্বদেশের আকাশে’-এ বাক্যটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির আলোকে বিশ্লেষণ কর।            

 

 

     ৫নং প্রশ্নের উত্তর     

 

ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

 

খ. ৭ই মার্চের ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূলমন্ত্র নিহিত ছিল বলেই এ ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।

 পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। বাঙালিদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারকে তারা জোর করে হরণ করে। তারই প্রেক্ষিতে ৭ই মার্চের ভাষণ অনিবার্য হয়ে ওঠে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক ও স্বাধীনতার চেতনায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের দিক-নির্দেশনা। তাই এর ইতিহাস ভিত্তিক গুরুত্বের কারণেই একে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।

 

গ. জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় উদ্দীপকের ম্যান্ডেলা চরিত্রের অনমনীয় গুণটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষণীয়।

 

 এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর নিরবচ্ছিন্ন সাধনার কথা স্থান পেয়েছে। সারাজীবন জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করে তিনি সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন, কিন্তু অন্যায়ের কাছে নতিস্বীকার করেননি। এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদী নেতা।

 

 উদ্দীপকের নেলসন ম্যান্ডেলাও ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু অন্যায়ের কাছে তিনি কখনই মাথানত করেননি। শত নির্যাতন সহ্য করেই তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সারাজীবন নিয়োজিত থেকেছেন। তাঁর আন্দোলনেই এক সময় বর্ণবাদের অবসান ঘটে। শেষ পর্যন্ত জয় হয় মানবতার। প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধু ও নেলসন ম্যান্ডেলার নানাবিধ গুণের কথা উল্লিখিত হয়েছে। উভয় নেতার মধ্যেই ন্যায়ের পক্ষে আপসহীনতার বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। উদ্দীপকে ম্যান্ডেলা চরিত্রের উক্ত গুণটিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।

 

ঘ. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নেলসন ম্যান্ডেলা দুজনেই তাদের স্বদেশের বুকে উড়িয়েছেন মানবতা আর স্বাধীনতার বিজয় কেতন- বাক্যটি প্রবন্ধ ও উদ্দীপকের আলোকে যথার্থ।

 

 বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির বুকে চালিয়েছিল অত্যাচারের স্টিম রোলার। বাঙালি জাতিকে পরিণত করতে চেয়েছিল চিরদাসে। ঠিক এ সময় বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর অসামান্য নেতৃত্ব গুণে বাঙালি অর্জন করেছিল প্রিয় স্বাধীনতা।

 

 অপরদিকে উদ্দীপকেও দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি সারাজীবন স্বাধীনতার পক্ষে মানবতার পক্ষে কাজ করেছেন। এর জন্য তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগও করেছেন, কিন্তু কখনো দমে যাননি। তিনি তার অদম্য চেতনা আর দৃঢ় নেতৃত্ব গুণে তার দেশে প্রতিষ্ঠা করেছেন মানবতা আর স্বাধীনতা।

 

 বঙ্গবন্ধু ও ম্যান্ডেলা উভয় নেতাই জনগণের অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা এবং মানবতার জয় ঘোষণাই ছিল তাদের চেতনার মূলমন্ত্র। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু আর দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা; যাদের দৃঢ় নেতৃত্বে দুটি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীনতা।

 

 

 

 

প্রশ্ন -৬:   নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদ সবার উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা ভাষণে বলেন, আমার একার পক্ষে এ ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে কেউ আমাদের উন্নয়ন রুখতে পারবে না। তাঁর এ ভাষণে ইউনিয়নের মানুষগুলো একটি আদর্শ ইউনিয়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।

ক. ৭ই মার্চের ভাষণটির স্থান কোথায় ছিল?         

খ. ৭ই মার্চের ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলার কারণ কী?       

গ. উদ্দীপকে চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদের ভাষণের সাথে ৭ই মার্চের ভাষণের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।   

ঘ.‘যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে’ চেয়ারম্যান সাহেবের উক্তিটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ কর।           

 

 

    ৬নং প্রশ্নের উত্তর     

 

ক. ৭ই মার্চের ভাষণটির স্থান ছিল ঢাকার রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।

 

খ. ৭ই মার্চের ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূলমন্ত্র নিহিত ছিল বলেই এ ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।

 

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। বাঙালিদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারকে তারা জোর করে হরণ করে। তারই প্রেক্ষিতে ৭ই মার্চের ভাষণ অনিবার্য হয়ে ওঠে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক ও স্বাধীনতার চেতনায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের দিকনির্দেশনা। বাঙালির জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভাষণটির গুরুত্বপূর্ণ অবদানে অর্থাৎ এর ইতিহাস ভিত্তিক গুরুত্বের কারণেই ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।

 

গ. উদ্দীপকে চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদের ভাষণের সাথে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের সাদৃশ্য রয়েছে।

 

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় স্বাধীনতার জন্য বাঙালির সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শোষকগোষ্ঠী বাঙালিদের অধিকার জোরপূর্বক হরণ করে আসছিল। তাই বাঙালি জাতি পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তির জন্য বায়ান্ন, ঊনসত্তরে সংগ্রাম করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর ডাকেই দেশের সবাই একত্রিত হয়ে দেশকে শ  ত্রুমুক্ত করে।

 

 উদ্দীপকেও দেখা যায়, অতুল প্রসাদ চেয়ারম্যান হওয়ার পর ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য জনগণের সামনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন যে, তার একার পক্ষে উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। অর্থাৎ দেশ বা ইউনিয়ন যেটাই হোক না কেন কোনো মানুষের একার পক্ষে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ৭ই মার্চের ভাষণে জাতির বা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবার সার্বিক অংশগ্রহণের বিষয়টির সাথে উদ্দীপকে চেয়ারম্যানের ভাষণে ইউনিয়নের উন্নয়নে সমগ্র এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করার বিষয়টির সাদৃশ্য রয়েছে।

 

ঘ. ‘যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে’ চেয়ারম্যান সাহেবের উক্তিটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার বিষয়বস্তুর আলোকে তাৎপর্যবহ।

 

 এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বঙ্গবন্ধু দেশকে বহিঃশ  ত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। কেননা পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শোষকগোষ্ঠী বাঙালিদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছিল। তাই জাতির অধিকার ফিরে পেতেই বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালিকে উজ্জীবিত করেন। সেখানেই তিনি বলেন,   ত্রুর মোকাবিলা করার জন্য যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা একার পক্ষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব নয়। দেশকে শ  ত্রুমুক্ত করতে হলে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে, সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। তবেই জাতির সার্বিক কল্যাণ সম্ভব।

 

উদ্দীপকেও দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়ে অতুল প্রসাদ এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ইউনিয়নের উন্নয়ন তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই অংশগ্রহণ করলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না। জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া প্রতিরোধ বা উন্নয়ন কোনোটিই সম্ভব নয়-উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা ভাষণে এবং

‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার মূল বিষয় একই।

 

 প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সবার অংশগ্রহণেই যে মানুষের সার্বিক মুক্তি সম্ভব-এ বিষয়টিই উদ্দীপকে এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষণে প্রকাশিত হয়েছে।

 

 

 

 

প্রশ্ন -৭:   নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


বিশ্বের ইতিহাসে অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করতে হয়। সহ্য করতে হয় সীমাহীন নির্যাতন। কিন্তু মাথানত করেননি তিনি। ক্রমান্বয়ে তার আদর্শে উজ্জীবিত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এক সময় অবসান ঘটে বর্ণবাদের, জয় হয় মানবতার।

ক. কে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন?         

খ. তেইশ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে কী বোঝানো হয়েছে?       

গ. উদ্দীপকে ম্যান্ডেলার চরিত্রের কোন গুণটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষণীয়? বুঝিয়ে লেখ।  

ঘ. ‘নেলসন ম্যান্ডেলা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়ই চিরন্তন প্রেরণার আদর্শ’- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।  

     

 

৭নং প্রশ্নের উত্তর 

 

ক. ইয়াহিয়া খান অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন।

 

খ. তেইশ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বাঙালির শোষিত হওয়ার ইতিহাসকে বোঝানো হয়েছে।

 এই তেইশ বছর নানা ভাবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করেছে। তারা বারবার বাঙালিদেরকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র নির্বাচন, ’৫৮-র মার্শাল-ল, ’৬৬-র ছয় দফা, ’৬৯-র গণঅভুত্থ্যান এবং ’৭০-র নির্বাচন বাঙালির অত্যাচারিত হওয়ার করুণ ইতিহাসকেই তুলে ধরে।

 

গ. উদ্দীপকের নেলসন ম্যান্ডেলার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানের গুণটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষণীয়।

 

মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন। ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম রচনাটিতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সরকারের অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহব্বান জানান। শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে সংগ্রামের ডাক দেওয়ায় তাকে বহুবার কারাভোগ করতে হয়েছে। তবুও তার এ বজ্রকণ্ঠের আহব্বানের মধ্য দিয়ে বাঙালির মনে নবচেতনার উন্মেষ ঘটে এবং জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

 

 উদ্দীপকে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। দীর্ঘকাল আফ্রিকার কালো মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তাকে অনেক কষ্ট, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে সীমাহীন নির্যাতন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সফল হয়েছেন। সুতরাং বলা যায়, ম্যান্ডেলার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল দৃঢ়চিত্তের মানসিকতা বঙ্গবন্ধুর মধ্যে লক্ষণীয়।

 

ঘ. ‘নেলসন ম্যান্ডেলা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়েই চিরন্তন প্রেরণার আদর্শ’ উক্তিটি- যথার্থ।

 

 

শেখ মুজিবুর রহমান একজন অবিসংবাদিত নেতা। তিনি এদেশের মানুষকে পাকিস্তানি শোষকচক্রের নির্যাতন থেকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার অনুপ্রেরণায় বাঙালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকারের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে সচেতনভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহব্বান করেন। তার ডাকেই বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা দীর্ঘদিন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করেছেন, সহ্য করেছেন সীমাহীন নির্যাতন। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। তার আন্দোলনের ফলে এক সময় বর্ণবাদের পরাজয় ঘটে আর জয় হয় মানবতার।

 

 নেলসন ম্যান্ডেলা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণেই আজ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বর্ণবাদ মুছে গেছে আর বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়, অত্যাচার ও পরাধীনতার নাগপাশ থেকে রক্ষা পেয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এই প্রেরণায় যুগে যুগে মানুষ উৎসাহিত হবে। উপর্যুক্ত আলোচনা হতে বলা যায়, প্রশ্নোল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।

 

 

 

প্রশ্ন -৮:   নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


প্রতিরাতে অস্ত্রধারী কিছু ডাকাত সোনাতলা গ্রামের মানুষের অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের মুরব্বি মোবারক মাস্টার সবাইকে একটি মাঠে জমায়েত হওয়ার আহব্বান জানান। তিনি সবাইকে লক্ষ করে বলেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি, কিন্তু আর না। আসুন আমরা একতাবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলি।’ তার এ সংক্ষিপ্ত ভাষণে সবার মনোবল সুদৃঢ় হয়। যেন রক্তে আগুন ধরিয়ে দেয় শ  ত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।

ক. ‘ব্যারাক’ শব্দের অর্থ কী?         

খ. শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়েছিল কেন?       

গ. উদ্দীপকের ভাষণটির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণটির সাদৃশ্য নিরূপণ কর।    

ঘ.‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে মোবারক মাস্টারের ভাষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।  

     

 

৮নং প্রশ্নের উত্তর  

 

ক. ‘ব্যারাক’ শব্দের অর্থ সেনাছাউনি।

 

খ. বাঙালির জাতির অধিকার রক্ষার সংগ্রামের অধিনায়ক হিসেবেই শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভ‚ষিত করা হয়।

 

বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করার দাবিতে শেখ মুুজিবুর রহমান ছিলেন এক জ্বলন্ত অগ্নিশিখা। পাকিস্তানি সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একমাত্র বলিষ্ঠ কিংবদন্তি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র সংসদ পরিষদের ভিপি তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভ‚ষিত করেন।

 

গ. বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সঙ্গে উদ্দীপকের ভাষণটির সাদৃশ্য রয়েছে।

 

পাকিস্তানিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। আর উদ্দীপকে গ্রামের মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হতে আহব্বান জানান মাস্টার।

 পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র থেকে বাঙালির অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ দেন। তার এ ভাষণ ছিল বাঙালির স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। তিনি প্রতিটি বাঙালিকে স্ব স্ব স্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহব্বান জানান এবং এক পর্যায়ে তিনি ঘোষণা দেন যে, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তার এ ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিটি বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উদ্দীপকের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। কারণ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদমুখর ভাষণ মানুষকে প্ররোচিত করেছিল। মানুষ পেয়েছিল অন্যায়কে প্রতিহত করার প্রেরণা। এসব দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, উভয় অংশের মধ্যে বেশ সাদৃশ্য বিদ্যমান।

 

ঘ. উদ্দীপকের মোবারক মাস্টারের ভাষণ ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

 

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের ডাক। এদিন তিনি লাখ লাখ মানুষকে একটি ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিপ্রেরণায় উদ্দীপিত করেছিলেন। তিনি যখন বলেন, ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’- তখন কেউ ঘরে বসে থাকতে পারেনি। বাংলার জনগণের ধমনিতে প্রবাহিত রক্তের শান্ত ধারা অশান্ত হয়ে টগবগ করে ফুটে উঠল - যেন কেউ তাদের রক্তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাঙালিদের শ  ত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উদ্দীপ্ত করেছিল।

 

উদ্দীপকের সোনাতলা গ্রামের মানুষও মোবারক মাস্টারের কথায় উদ্দীপ্ত হয়েছিল। মোবারক মাস্টার সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে বলেন। তার এ কথায় গ্রামের সবার মনোবল সুদৃঢ় হয় এবং শ  ত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা জোগায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোর আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু এবং মোবারক মাস্টারের ভাষণ ছিল অনুপ্রেরণাসম।

 সুতরাং বলা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা হিসেবে মোবারক মাস্টার ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

 

 

 

প্রশ্ন -৯:   নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :


বিদেশি সেনার কামানেবুলেটে বিদ্ধ

নারী শিশু আর যুবক-জোয়ান বৃদ্ধ

  ত্রু সেনারা হত্যার অভিযানে

মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে।

ক. বঙ্গবন্ধু কত সালে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন?        

খ. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে বাঙালিরা কোন প্রেরণা পেয়েছিল?        

গ. উদ্দীপকটির বিষয় তোমার পাঠ্য কোন রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।     

ঘ.উদ্দীপকটি প্রতিফলিত রচনার সমগ্র ভাব ধারণ করে কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।    

  

  ৯নং প্রশ্নের উত্তর 

 

ক. বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন।

 

খ. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে বাঙালিরা মুক্তির প্রেরণা পেয়েছিল।

 বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতিকে নতুনভাবে বাঁচার অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। এ ভাষণের অসাধারণ প্রাণশক্তি মুহ‚র্তের মধ্যে সমস্ত বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জুগিয়েছিল। এ যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।

 

গ. উদ্দীপকটির বিষয় আমার পাঠ্য ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটিতে প্রতিফলিত হয়েছে।

 

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতায় সংগ্রাম’ রচনায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটিকে তুলে ধরা হয়েছে। ভাষণে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নির্বিচারে হত্যা, পাশবিক নির্যাতন, ক্ষমতার ষড়যন্ত্র প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেছেন। আর এসব অন্যায়ের প্রতিবাদেই বঙ্গবন্ধু সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহব্বান জানান এবং শেষ পর্যন্ত বাঙালি সফল হয়েছে।

 

উদ্দীপকে বলা হয়েছে, বিদেশি সেনাদের কামানের বুলেটে বিদ্ধ হলো শিশু যুবক জোয়ান বৃদ্ধরা। শ  ত্রুসেনারা এদেশের মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে অভিযানে বের হয়েছে। বাংলার মুক্তিবাহিনীও এই অন্যায় মেনে নিয়ে চুপ করে থাকেনি। তারাও প্রতিরোধে সোচ্চার হয়েছে। সুতরাং দেখা যায়, উদ্দীপকের বর্ণিত বাংলার মানুষের ওপর নির্যাতন ও এর প্রতিবাদের বিষয়টি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে।

 

ঘ. উদ্দীপকটির বিষয় ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।

 

 এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ২৩ বছরের অবহেলিত বাঙালি জাতির অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি প্রভৃতি যখন ধ্বংসের সম্মুখীন তখনই বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে বেজে ওঠে বাংলা রক্ষার আহব্বান। বঞ্চিত পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেও ক্ষমতায় বসতে পারে না। উপরন্তু তাদের লোকজনের ওপর নানা অত্যাচার, নির্যাতন ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এরই প্রতিবাদে বঞ্চিত বাঙালি জাতির মুক্তির আহব্বান হিসেবে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন তা আলোচ্য রচনায় উপস্থাপিত হয়েছে।

 

অপরপক্ষে, উদ্দীপকে আলোচ্য রচনার মধ্যে বর্ণিত বিদেশি সেনাদের অত্যাচার এবং বাঙালিদের এই অন্যায় না মেনে নেওয়ার সংগ্রামী দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এ রচনার বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও অন্যান্য বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত।

 

 তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।

 

 

 

প্রশ্ন -১০:   নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।

তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,

হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার

সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?

গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি :

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

ক. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’-উক্তিটি কার?        

খ. বঙ্গবন্ধু কেন প্রধানমন্ত্রিত্ব চাননি-সংক্ষেপে লেখ।        

গ. উদ্দীপকের কবি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’-রচনায় বর্ণিত কোন ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন কর।   

    

 ১০নং প্রশ্নের উত্তর     

 

ক. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’-উক্তিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।

 

খ. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে চেয়েছিলেন; তাই তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাননি।

 

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন চেয়েছিলেন, কিন্তু ইয়াহিয়া সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করে সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালায়। আবার অধিবেশন বসলে শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাসেম্বলি প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে, তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব চান না; তিনি চান সাধারণ মানুষের মুক্তি।

 

গ. উদ্দীপকের কবি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ইঙ্গিত করে।

 

 এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করা সত্তে¡ও তৎকালীন সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করার সূত্র ধরে বঙ্গবন্ধু বাঙালির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ প্রদান করেন। সেদিন প্রায় ১০ লাখ লোক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের জন্য অপেক্ষা করেন। আবেগময়ী বক্তব্যে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের দিক-নির্দেশনায় ওই ভাষণটি ছিল অনবদ্য।

 

 উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এই ভাষণের কথা বলা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে জনতার মঞ্চে এসে বাঙালির দিকনির্দেশনামূলক ভাষণটি প্রদান করেন। দেশমাতৃকাকে রক্ষার্থে দেশের জনগণের মনে সংগ্রামী চেতনা জাগ্রত করতে এ ভাষণ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। আবেগের বক্তব্যে, দিক-নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিল অনবদ্য। তার এ ভাষণকে কবিতা এবং তাকে কবি বলা হয়েছে।

 

ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে তাৎপর্যপূর্ণ।

 

 ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। উক্ত ভাষণের একেবারে শেষে তিনি বলেন “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” উক্তিটি বাংলার গণমানুষের হৃদয়ের উক্তিতে পরিণত হয়েছিল। উক্তিটির ভিতর দিয়ে স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। ভাষণে তিনি পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের ইতিহাসের সারকথা সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন। এই ২৩ বছরের ইতিহাস অত্যন্ত করুণ, হৃদয়বিদারক, অত্যাচার আর রক্তের ইতিহাস। কিন্তু এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। আর মুক্তির জন্য চাই স্বাধীনতা। তাই স্বাধীনতার আসল ডাক দিয়েছিলেন উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটির মধ্যদিয়ে।

 

 উদ্দীপকে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর আগমনে হাজার জনতার হৃদয়ে দোলা লাগে, জোয়ার ওঠে। কবির কবিতা শোনার অপেক্ষা শেষ হয়, দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে মুক্তির অমর কবিতার মধ্য দিয়ে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। উদ্দীপকে উল্লিখিত শেষ চরণ দুটি বঙ্গবন্ধুরই ভাষণের অংশ বিশেষ। চরণ দুটির মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের বীজমন্ত্র।

 

 সুতরাং বলা যায়, প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটি এবং প্রবন্ধ উভয়ই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যার তাৎপর্য বাঙালি জাতির জীবনে অপরিসীম।

 

 

সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

 

প্রশ্ন-১১:

দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতাকামী নেতা অর্থাৎ স্বাধীনতার অগ্রদূত বলা হয় জন গেরাংকে। তিনি উত্তর সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে পৃথক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন, দক্ষিণ সুদানবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে তার অনুপ্রেরণায় অবশেষে দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই দক্ষিণ সুদানবাসী কোনোদিন তাকে ভুলতে পারবে না।

ক.  গণঅভ্যুত্থান কবে হয়? 

খ.  ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’ কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। ২

গ.  উদ্দীপকের ‘জন গেরাং’-এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বৈসাদৃশ্য কোথায়? নির্ণয় কর। 

ঘ.  কিছু বৈসাদৃশ্য থাকলেও জন গেরাং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই প্রতিচ্ছবি- মন্তব্যটি যাচাই কর।  

 

 

প্রশ্ন-১২:   

একনায়ক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে মিসরের মানুষ। তাঁরা তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয়ে মোবারকবিরোধী ¯স্লোগান দেয়। ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট সবকিছু বন্ধ রাখে জনগণ। সরকারের নির্যাতন সয়ে, মৃত্যুকে বরণ করতেও তাঁরা পিছপা হয়নি। অবশেষে তাঁরা মোবারক সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়।

ক.  প্রেসিডেন্ট হিসেবে কে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন?          

খ.  “আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।”-বাক্যটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? 

গ.  উদ্দীপকের মিসরবাসীর আচরণ ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার বাঙালিদের আচরণের সাদৃশ্য দেখাও। 

ঘ.  ‘উদ্দীপকের মিসরবাসী যেভাবে সরকারের পতন ঘটিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানও তার ভাষণে সেভাবেই স্বৈরাচারী পাকিস্তানি সরকারের পতন ঘটানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।”-উক্তিটির পক্ষে মতামত দাও।      


নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment