নির্যাতন কী? নারী নির্যাতন বলতে কী বুঝ? what is violence against women?

নির্যাতন কী?, নারী নির্যাতন বলতে কী বুঝ?, নির্যাতন কাকে বলে?, নারী নির্যাতন কী? নারী নির্যাতন কাকে বলে?, What do you mean by violence against women?
Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

প্রশ্ন ॥ নারী নির্যাতন কী? অথবা, নারী নির্যাতন বলতে কী বুঝ? নির্যাতন কাকে বলে?

নারী নির্যাতন কী? নারী নির্যাতন বলতে কী বুঝ?
What do you mean by violence against women? Or, what is violence against women? Or, what is the violence against women?

ভূমিকা : 

বাংলা শব্দ নির্যাতন এর ইংরেজি শব্দ Violence বা Oppression ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন করা যায়। যেমন : দৈহিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন ইত্যাদি। দুই পক্ষের পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমেই নির্যাতন সংঘটিত হয়। একপক্ষ নির্যাতনকারী ও অপরপক্ষ নির্যাতন ভোগকারী।

নির্যাতনের সংজ্ঞা : 

সাধারণভাবে বলা যায়, যখন এক বা একাধিক ব্যক্তি কর্তৃক অন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে দৈহিক বা মানসিক চাপ দেয়া হয়, তখন তাকে নির্যাতন বলে। 

কাউকে প্রহার করা, কাউকে অপমানিত করা, কথায় মাধ্যমে আঘাত, মার দেওয়া ইত্যাদি নির্যাতনের উদাহরণ। অর্থাৎ, কাউকে মানসিক বা দৈহিক আঘাত করা। প্রামাণ্য সংজ্ঞা : নিম্নে কিছু সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো-

Pacific Asian Women Forum - PAWF নির্যাতনের সংজ্ঞা দিয়েছেনে এভাবে, 

“নির্যাতন হলো কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উপর অন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হুমকি বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ইচ্ছানুসারে কাজ করানো।”

Gelles and Straus G, 

"An act carried out with the intention of or perceived as having the intention of physically hunting another people." 

Oxford Dictionary এর মতে, 

Violence শব্দটি Latin শব্দ Vialatia থেকে উদ্ভূত, যার আভিধানিক অর্থ আক্রমণ, উৎপীড়ন, শক্তি প্রয়োগ ইত্যাদি নারী নির্যাতন বলতে নারীদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার উৎপীড়ন, আক্রমণ শোষণ ও প্রহার করাকে বুঝায় ।

Hacker এর ভাষ্য মতে, 

" To frighten and by frightening to dominate and control. " অর্থাৎ, ভীতি প্রদর্শন ও ভীতি প্রদর্শনের দ্বারা আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করাকে নির্যাতন বলে। 

উপসংহার : 

পরিশেষে বলা যায় যে, পৃথিবীর আদিকাল থেকে দুর্বলের উপর সবল, শক্তিশালীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। 

তবে সবসময়ই নির্যাতন ভোগকারীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশী। পরিবার থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে।


প্রশ্ন : নারী নির্যাতন বলতে কী বুঝ? অথবা, নারী নির্যাতন কী? অথবা, নারী নির্যাতন কাকে বলে?

ভূমিকা : 

কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে যা কিছু মহান চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। একটি সমাজ গড়ে উঠে নারী পুরুষের সমাজ অংশগ্রহণের মাধ্যমে। 

যখন কোন সমাজে নারীর অংশগ্রহণ করে যাবে, ঐ সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হবে। নারী তখন উন্নয়নের সক্রিয় অংশীদার না হয়ে, সমাজের বোঝা হিসেবে পরিগণিত হবে। 

তখন অতীত কাল থেকে আমরা সমাজে নারীর অবহেলা, বঞ্চনা, প্রতারণা ও নির্যাতনের চিত্র অবলোকন করছি। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও নারী নির্যাতনের হার অনেক। দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

→ নারীনির্যাতনের সংজ্ঞা :

সংকীর্ণ অর্থে নারীনির্যাতন বলতে নারীর প্রতি শারীরিক উৎপীড়ন বা নিপীড়নকে বুঝায়। কিন্তু ব্যাপক অর্থে নারীনির্যাতন বলতে নারীদের উপর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় যেকোনো ধরনের নিপীড়নকে বুঝায় । 

নারীদের যেকোনো অধিকার খর্ব করা এবং নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেকোনো কিছু করতে বাধ্য করাও নারীনির্যাতন।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা : 

নিম্নে কিছু সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো-

প্রফেসর মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের মতে, 

নারীনির্যাতন একটি ব্যাপক অর্থবহ প্রত্যয়। সাধারণভাবে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টি নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা বলপ্রয়োগে অথবা ভয় দেখিয়ে নারীকে কোনো কিছু করতে বাধ্য করাই হলো নারীনির্যাতন। 

সিডও সনদে বলা হয়েছে, 

নারী নির্যাতন হলো নারীকে শারীরিক, মানসিক ও জৈবিকভাবে বেদনাহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ভোগের ভাগিদার করে এমন কিছু আচরণ কিংবা ভীতি প্রদর্শন। হুমকি ও বলপ্রয়োগ যা নারীর স্বেচ্ছাধীন কাজ করা ও চলাফেরার ব্যাপারে তাকে বঞ্চিত করে 

জাতিসংঘের মতে, 

"নারী নির্যাতন বলতে বুঝায়, নারীদের বিরুদ্ধে যে কোন প্রকার লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতন।" যেমন : দৈহিক, যৌন বা মানসিক ক্ষতি বা যন্ত্রণা, যা তাদের জনজীবন বা ব্যক্তিগত জীবনে সংঘটিত হয়। 

বাংলাদেশের নারীবাদী জরিনা রহমান খান বলেছেন, 

“নারী নির্যাতন বলতে শুধু নারীকে দৈহিক নির্যাতন নয়; বরং যে কোন ধরনের শোষণ করাকে বুঝায়। "

পরিশেষে বলা যায় যে, কোন নারীকে মানসিক বা দৈহিক আঘাত করাই হলো নারী নির্যাতন। নারী নির্যাতন বন্ধ করে সকল নারীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। 

উপসংহার : 

নারীনির্যাতন নতুন কোনো বিষয় নয়। নারী নির্যাতনের ইতিহাস শত শত বছরের পুরনো ইতিহাস। মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা পরিবর্তন ও পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থায় ধীরে ধীরে শুরু হয় নারীনির্যাতন। 

বর্তমানে পৃথিবীরে উন্নত, উন্নয়নশীল, অনুন্নত সকল রাষ্ট্রেই কমবেশি নারীনির্যাতন সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু নারীনির্যাতন বন্ধ না করে নারীকে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের অংশীদার না করলে আমাদের আজকের পৃথিবী বহুলাংশে পিছিয়ে পড়বে।

নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment