পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য

পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য সংক্ষেপে আলোচনা কর - পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক
Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

What is difference between western political thought and eastern political thought?

পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য

পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য সংক্ষেপে আলোচনা কর। 

ভূমিকা : রাষ্ট্রচিন্তা মানুষের রাজনৈতিক জীবনের বিকাশের ক্ষেত্রে এক অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে রাষ্ট্রচিন্তার প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য- এ দুটি ধরন দেখা যায়। 

প্রাচ্যের মনীষীগণের রাষ্ট্রিক চিন্ত-ভাবনা প্রাচ্য রাষ্ট্রচিন্তা আর পাশ্চাত্যের মনীষীগণের রাষ্ট্রীক চিন্তাভাবনা পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা হিসেবে পরিচিত। তবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে।

পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য :

নিম্নে পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো : 

১. আদর্শগত পার্থক্য : 

পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তায় বিশেষ কোনো আদর্শ বা চিন্তার পক্ষপাতি না; বরং ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছা, চিন্তন, আবিষ্কার ও মানসিকতা স্থান পেয়েছে। পক্ষান্তরে, প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তায় আদর্শবাদের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন— কনফুসিয়াস, লাওসের দর্শন ও ইসলামি দর্শনের প্রভাব লক্ষ করা যায়।

২. অভিজ্ঞতাগত পার্থক্য : 

পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তাকে অভিজ্ঞতাবাদী বলা যায় না। পাশ্চাত্য দার্শনিকগণ পূর্বসূরিদের চিন্তন ও আদর্শকে সমর্থন করেছেন মাত্র। অপরদিকে, প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তা একান্তভাবে অভিজ্ঞতাবাদী। প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তাবিদগণ পূর্বসূরিদের চিন্ত ন ও আদর্শকে পূর্ণ করার চেষ্টা করেছেন। 

৩. রক্ষণশীলতা : 

পাশ্চাত্যের সমকালীন রাষ্ট্রচিন্তা রক্ষণশীল ছিল না। পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তার নির্দিষ্ট কোনো মূল্যবোধ গড়ে উঠেনি। পক্ষান্তরে, প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তা ছিল রক্ষণশীল। এখানে স্থানিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। 

৪. ধর্মগত পার্থক্য : 

পাশ্চাত্যের চিন্তাধারায় ধর্মীয় ধ্যান ধারণা স্থান পায়নি। এখানে ধর্মকে সকল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়। অপরদিকে, প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তিই ধর্ম। এখানে ধর্মকে স্পষ্টগত বিষয় হিসেবে দেখা যায়। প্রাচ্যের রাজনৈতিক চিন্তাকে কখনোই ধর্মীয় অনুশাসন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। 

উপসংহার : 

উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তায় ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা থাকলেও ধর্মীয় ও নৈতিক অনুশাসন সংযুক্ত না থাকায় অনেকাংশেই তা স্বেচ্ছাচারী করে তুলেছে। 

ফলে ভিন্নমত ও জাতির লোকেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তায় এরকম স্বার্থান্ধতা দেখা যায় না। তবে বর্তমানে পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে প্রাচ্যের পরিবার ও সমাজব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য, পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্যপাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্যপাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য,পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তা ও প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তার মধ্যে পার্থক্য

নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment