পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা - ৭ম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা - ৭ম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান - Paribarik Budget Pronoyon
Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা- ৭ম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান | Class 7 Jibon O Jibika / Life and Livelihood 1st Summative Assessment Solution: Paribarik Budget Pronoyon

পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা - ৭ম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান


প্রিয় শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড নির্দেশিত ৭ম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা অ্যাসাইনমেন্ট- পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা অ্যাসাইনমেন্টটি নিচে সমাধান করা হলো-


জীবন ও জীবিকা সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা:

একনজরে আমরা ছবি থেকে নির্দেশিকা গুলো দেখে নি।

৭.৪ পারিবারিক আয় ও ব্যয় বিবেচনা করে পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন করতে পারা এবং পরিবারের আর্থিক কাজে সহযোগিতা করতে পারা।
  • ৭.৪.১ নিজ পরিবারের পারিবারিক বাজেট করতে পারা
  • ৭.৪.২ পরিবারের আর্থিক কাজে সহযোগিতা করতে পারা
  • ৭.২ সেবা, শিল্প ও কৃষি খাতে দেশীয় শ্রমবাজারের চাহিদার পরি

৭.২ বর্তনের ধারা বিশ্লেষণ করতে পারা এবং ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য পেশাগুলোর মৌলিক দক্ষতাসমূহ অনুসন্ধান করতে পারা।
  • ৭.২.১ সেবা, শিল্প ও কৃষি খাতসমূহের দেশীয় শ্রমবাজারের চাহিদা পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ করতে
  • পারা
  • ৭.২.২ ভবিষ্যৎ শ্রমবাজার অনুযায়ী পরিবর্তিত বা নতুন যেকোনো একটি পেশার মৌলিক দক্ষতাসমূহ অন্বেষণ করতে পারা।

পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা - ৭ম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান


পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা - ৭ম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান



সমাধান


অভিজ্ঞতা: কাজের মাঝে আনন্দ 

কাজ-১: পরিবারের আয় ও ব্যয় বিবেচনা করে পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন:

প্রশ্নঃ পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তোমার পরিবারের আগামী ১ মাসের পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন করো। 

নমুনা উত্তর: 

নিচে আমার পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১ মাসের পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন করা হলো।

পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা - ৭ম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান



কাজ-২: পরিবারের আর্থিক কাজে সহযোগিতা করা।

প্রশ্নঃ তুমি কীভাবে পরিবারে আর্থিক কাজে সহযোগিতা করে থাকো? তা বর্ণনা করো।

নমুনা উত্তর: 

একটি পরিবার পরিচালনা করার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। পরিবারের শুধুমাত্র দু'একজন ব্যক্তির ওপর এ খরচের ভার চাপিয়ে দিলে তার পক্ষে পরিবার পরিচালনা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

 আর তাই পরিবারের সকল সদস্যদের উচিৎ নিজ সামর্থ অনুযায়ী পরিবারের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা। আমিও আমার পরিবারের আর্থিক সহযোগিতার চেষ্টা করি। 

পরিবারের আর্থিক সহযোগিতার জন্য আমি আমার নিজ উদ্যোগে হাঁস-মুরগি পালন করি এবং তা থেকে উৎপন্ন ডিম প্রতিবেশিদের কাছে বিক্রি করি বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে আমি আমার বাবার সাথে পুকুরে মাছ ধরি। 

এই মাছ বিক্রি করে উপার্জিত টাকা আমাদের পরিবারে পেছনে ব্যয় হয়। এছাড়াও আমার স্কুল বাসা থেকে কাছে হওয়ায় আমি রিক্সার পরিবর্তে হেটে স্কুলে যাই। ফলে উদ্ধৃত টাকা আমার পরিবারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণে ব্যয় করতে পারি।



অভিজ্ঞতা: পেশার রূপ বদল

কাজ-১: সেবা, শিল্প ও কৃষিখাতসমূহের দেশীয় শ্রমবাজারের চাহিদার পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ করো। 

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে সেবা, শিল্প ও কৃষিখাতসমূহের বাংলাদেশের শ্রমবাজারের চাহিদার কী কী পরিবর্তন ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করো। 


নমুনা উত্তর: 

নিচে সেবা, শিল্প ও কৃষিখাতসমূহের দেশীয় শ্রমবাজারের চাহিদার পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ করা হলো।

ভূমিকা: সময়ের সাথে সারাবিশ্বে পেশাগত চাহিদার পরিবর্তন ঘটেছে। একই দৃশ্য বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশার রূপবদল হয়েছে।

 বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষজন তাদের পূর্বের পেশা ছেড়ে নতুন কোনো পেশায় যুক্ত হয়েছেন। এর ফলে তাদের দক্ষতাগত পরিবর্তন ঘটেছে। একইসাথে জীবনমানেরও পরিবর্তন ঘটেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের চাহিদার পরিবর্তনের ধারা:

১. সেবাখাত: 

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সেবাখাতের শ্রমবাজারের ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। আগে যেখানে স্বল্প দক্ষতাসম্পন্ন মানুষদের চাকরী দেওয়া হত, এখন সেখাতে সুদক্ষ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে দেশের সেবাখাত আগের তুলনায় আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে।


২. শিল্পখাত:

দুই দশক পূর্বেও দেশের শিল্পখাত বেশ সমৃদ্ধ ছিল। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। কিন্তু বর্তমানে শিল্পখাত হুমকির মুখে। বিভিন্ন শিল্প যেমন- হস্তশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশশিল্প, মৃৎশিল্প ইত্যদির অস্তিত্ব এখন বিলীন প্রায়। 

এখন তাঁতের তৈরি পোশাক তেমন একটা দেখা যায় না। শহরের আধুনিক গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান এই তাঁতের জায়গা দখল করেছে। মৃৎশিল্পে উৎপাদিত বিভিন্ন বাসন-কোসন এবং অন্যা পণ্যসামগ্রীর পরিবর্তে মানুষ স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করছে। 

ফলস্বরূপ এসব শিল্পখাতে নিয়োজিত শ্রমিকরা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অন্য কাজের সাথে নিজেদের যুক্ত করছে। এমনই আরো শত শিল্পখাতে শ্রমবাজারের পরিবর্তন ঘটছে।


৩. কৃষিখাত: 

প্রযুক্তির উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে দেশের কৃষিখাতে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিস্কারের ফলে ফসল উৎপাদন এখন আগের তুলনায় আরো সহজ এবং সাশ্রয়ী হয়েছে। কৃষকের জায়গায় প্রযুক্তিগত বিভিন্ন যন্ত্র যেমন- হারভেস্টার, ট্রাক্টর এবং স্প্রেয়ারের মত উদ্ভাবনগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে।

এর ফলে আগের তুলনায় কম সংখক কৃষক কৃষিকাজের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়াও কৃষিজমি কমে যাওয়া, উপযুক্ত পারিশ্রমিকের অভাবে কৃষকরা কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। ফলে দেশের কৃষিখাতে বড় একটি সংকট তৈরি হচ্ছে।


কাজ-২: ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য পেশাগুলোর মৌলিক দক্ষতা অনুসন্ধান করো।

প্রশ্নঃ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে কোন কোন পেশাগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে? সেই সকল পেশাগুলোতে কী কী মৌলিক দক্ষতার প্রয়োজন হবে তা আলোচনা করো।

নমুনা উত্তর: 

তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে দেশের শ্রমবাজারে পেশাগত নানা পরিবর্তন আসছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যহত থাকবে। ফলে এসব নতুন পেশায় যুক্ত হতে চাইলে কিছু মৌলিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তা নিচে তুলে ধরা হলো:

১. ফ্যাশন ডিজাইনার: 

সময়ের সাথে মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে এখন মানুষ নতুন ধরনের পোশাক পরতে পছন্দ করে। তাই ফ্যাশন ডিজাইনিং হতে পারে আগামী সময়ের চাহিদাসম্পন্ন একটি কাজ। 

একজন ব্যক্তিকে ফ্যশন ডিজাইনার হতে হলে তাকে অবশ্যই পোশাক এবং কাপরের ওপর বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একই সাথে কোন ধরনের পোশাক পরতে মানুষ আরাম অনুভব করবে এবং বয়স অনুপাতে তাদের দেখতে সুন্দর লাগবে তা তাকে জানতে হবে।


২. আইটি এক্সপার্ট: 

এখন আমাদের প্রায় সকল কাজই প্রযুক্তির মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই আগামীতে একজন আইটি এক্সপার্টের কাজের চাহিদা ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। আর একজন সফল আইটি এক্সপার্ট হতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই কম্পিউটার বিশেষ কিছু কাছে পারদর্শী হতে হবে।


৩. অভিজ্ঞ শিক্ষক: 

একটা সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ছিল মুখস্থনির্ভর। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। মুখস্থনির্ভর শিক্ষাপদ্ধতির পরিবর্তে এসেছে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি। এর ফলে আগামীতে এমন সব অভিজ্ঞ শিক্ষকের চাহিদা বাড়বে, যারা শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারেন ।

৪. কম্পিউটার ফরেনসিক ইনভেস্টিগেটর: 

কম্পিউটার ফরেনসিক ইনভেস্টিগেটরের প্রধান কাজ হবে প্রযুক্তি নির্ভর তথ্যের বৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক কাজ এতোই বৃদ্ধি পেয়েছে যে এসব মাধ্যমে তথ্যের বৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করা একটি জরুরী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

তবে এ পেশায় কাজ করতে প্রশাসনিক এবং প্রযুক্তিগত উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষতার প্রয়োজন হতে পারে।


৫. সাইবার সিকিউরিটি নিনজা: 

সাইবার সিকিউরিটি নিনজার মূল কাজ হবে ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা এবং সাইবার অপরাধের কবল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে নিরাপদ রাখা। প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের দরুন সাইবার অপরাধের সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। 

ভবিষ্যতে অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখাটা মানুষের জন্য একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়াও কম্পিউটার ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সাইবার সিকিউরিটি নিনজা হয়ে উঠতে পারে একটি প্রয়োজনীয় এবং লাভজনক পেশা।

সুতরাং বলা যায় যে, আগামীর বাংলাদেশের অনেক আধুনিক পেশা আসতে যাচ্ছে। আর এসব আধুনিক পেশায় যুক্ত হতে হলে আমাদেরকেও আধুনিক শিক্ষা শিক্ষিত হতে হবে এবং ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে।



জয়েন করুন ৭ম শ্রেণির ফেইসবুক স্টাডি গ্রুপে






Tag: পারিবারিক বাজেট প্রণয়ন, পারিবারিক আর্থিক কাজে সহযোগিতা, সেবা, শিল্প ও কৃষিখাতসমূহের দেশীয় শ্রমবাজারের চাহিদার পরিবর্তনের ধারা, ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য পেশাগুলোর মৌলিক দক্ষতা অনুসন্ধান

নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment