খেলা ও শরীর চর্চার সময় কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে যে অগ্রিম প্রস্তুতি গুলো নিতে হবে

খেলা ও শরীর চর্চার সময় দূর্ঘটনা ঘটলে আমাদের করণীয় - খেলা ও শরীর চর্চার সময় কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে যে অগ্রিম প্রস্তুতি গুলো নিতে হবে
Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

খেলা ও শরীর চর্চার সময় কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে যে অগ্রিম প্রস্তুতি গুলো নিতে হবে - What to do in case of an accident

খেলা ও শরীর চর্চার সময় কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে যে অগ্রিম প্রস্তুতি গুলো নিতে হবে

অনেক সময় আমরা খেলাধুলার সময় অথবা শরীর চর্চা/ ব্যায়াম করার সময় নানা রকম দূর্ঘটনায় পতিত হই। ঐসব দুর্ঘটনা হতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের অগ্রিম কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখা প্রয়োজন। তাই আজ আমি আপনাদের এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক কিছু ধারণা দিব।


খেলা ও শরীর চর্চার সময় দূর্ঘটনা ঘটলে আমাদের করণীয়: 

খেলা ও শরীর চর্চার সময় দূর্ঘটনা ঘটলে নিন্মলিখিত পদক্ষেপগুলো নিতে পারি-

প্রাথমিক চিকিৎসা:

প্রাথমিক চিকিৎসা সাধারণত যেকোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী অথবা এম্বুলেন্স আসার আগে দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য চিকিৎসক প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সেবা পাওয়ার পূর্বে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা বা দুর্ঘটনার ক্ষতি বাড়তে না দেওয়া।

যেকোনো প্রাথমিক চিকিৎসার শুরুতেই যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হয় তার মধ্যে রয়েছে:

  • ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখা।
  • অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করা।
  • ভাঙা হাড়ের যত্ন নেওয়া।


খেলাধুলা ও শরীরচর্চার সময় আমরা যে সমস্ত দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে পারি সেগুলো এবং এর ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে আমরা কী করতে পারি তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

কেটে যাওয়া: 

খেলাধুলা ও শরীরচর্চা বা অন্যান্য কাজকর্মের সময় কেটে গেলে সেটা দুই ধরনের ক্ষত তৈরি করতে পারে, গভীর বা অগভীর। ক্ষতস্থান ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে যাতে সেখানে কোনো ধুলাবালু বা অন্য কোনো ময়লা না থাকে। খেয়াল করতে হবে রক্তপাত যাতে বেশি না হয়। রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ক্ষতস্থান চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে এবং কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান বেঁধে দিতে হবে।

হাড়ভাঙা: 

দুর্ঘটনার পর শরীরে কোনো অংশ যদি স্বাভাবিক আকৃতির না থাকে, প্রচন্ড ব্যাথা হয় এবং ফুলে যায় তাহলে ধরে নিতে হবে সেখানকার কোনো হাড় ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এজন্য কোনো লাঠি দিয়ে ভাঙা অংশের দুপাশে বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। রক্তক্ষরণ হতে থাকলে সেটি বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।


মচকানো: 

শরীরচর্চা, খেলাধুলা বা অন্যান্য কাজের সময় হাড়ের সংযোগ স্থান হঠাৎ মচকে গেলে বা বেঁকে গেলে ঐ জায়গার স্নায়ুতন্ত্রের ওপর টান পড়ে বা ফিঁড়ে গিয়ে যে অসুবিধার সৃষ্টি হয় তাকে মচকানো বলে। এর ফলে প্রচন্ড ব্যাথা হওয়া এবং ফোলা ফোলা ভাব তৈরি হতে পারে। প্রথমেই মচকে যাওয়া অংশ যেননড়াচড়া না করা হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ক্রেপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাথা কমানোর জন্য বরফ বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।


পেশির টান খাওয়া:

খেরাধুলার সময় আমাদের শরীরের মাংসপেশি অতিরিক্ত সংকুচিত হলে এই অবস্থা তৈরি হতে পারে। পেশি টান খেলে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। এই পরিস্থিতিতে টান খাওয়া পেশিকে প্রসারণ করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যথা কমানোর জন্য গরম সেঁচ অথবা বরফ লাগানো যেতে পারে।


নাক দিয়ে রক্ত পড়া: 

আঘাতজনিত বা অন্য কোনো কারণে কারও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে সাথে সাথে তাকে চিৎ করে শোয়াতে হবে কিংবা বসিয়ে মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে রাখতে হবে। নাকের সামনে ও ঘাড়ের পিছনে ঠান্ডা পানির ঝাপটা বা বরফ দিতে হবে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ার পরও কিছুক্ষণ নাকের ছিদ্রপথে তুলো দিয়ে রাখতে হবে।


নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment