৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটবিহীন)
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম
বার্ষিক পরীক্ষা ২০২৪
শ্রেণি: ষষ্ঠ
বিষয়: ডিজিটাল প্রযুক্তি
গ-বিভাগ: রচনামূলক প্রশ্ন (দৃশ্যপটবিহীন)
৫টি প্রশ্নের মধ্যে থেকে যেকোনো ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ০৫।
১. কিভাবে আমরা একটা বিদ্যালয় পত্রিকা বানাতে পারি এবং উপহার হিসাবে কাকে দিতে পারি?
বিদ্যালয় পত্রিকা বানানোর জন্য আমরা প্রথমে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারি। এর জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে:
- সম্পাদক কমিটি গঠন: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সম্পাদক কমিটি গঠন করা।
- বিষয় নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ও জ্ঞানমূলক বিষয় নির্বাচন করা, যেমন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, সাফল্যগাঁথা ইত্যাদি।
- লেখা সংগ্রহ: শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লেখা সংগ্রহ করা। লেখা যাচাই করার জন্য শিক্ষকদের সাহায্য নেয়া।
- সম্পাদনা ও প্রুফ রিডিং: লেখাগুলো সম্পাদনা ও প্রুফ রিডিং করা, যাতে কোনো ভুল না থাকে।
- ডিজাইন ও মুদ্রণ: পত্রিকার সৃজনশীল ডিজাইন তৈরি করে তা মুদ্রণ করা।
এই বিদ্যালয় পত্রিকা আমরা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান শিক্ষক বা বিদ্যালয়ের মান্যবর অতিথিদের উপহার হিসাবে দিতে পারি।
২. প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশিকা লিখ।
প্রতিবেদন তৈরির জন্য নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়:
- শিরোনাম: প্রতিবেদনটি কী বিষয়ের ওপর লেখা হচ্ছে, সেই শিরোনাম পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা।
- উদ্দেশ্য: প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কী তা সংক্ষেপে বর্ণনা করা।
- সূচনা: প্রতিবেদনের প্রাথমিক বিষয়বস্তু এবং সমস্যার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লিখতে হবে।
- প্রধান অংশ: প্রতিবেদন তৈরির মূল আলোচনা বা বিশ্লেষণ এখানে থাকবে। তথ্য, উপাত্ত ও উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে।
- উপসংহার: আলোচিত সমস্যার সমাধান ও উপসংহার লিখতে হবে।
- সুপারিশ: যদি কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন হয়, তবে সুপারিশগুলো এখানে উল্লেখ করা হবে।
৩. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের কয়েকটি ধরন উদাহরণ সহ লিখ।
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলতে মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের তৈরি সৃজনশীল ও উদ্ভাবনমূলক কাজের অধিকারকে বোঝায়। এর কয়েকটি ধরন হল:
- কপিরাইট: সঙ্গীত, সাহিত্য, চিত্রকর্ম, সিনেমা ইত্যাদির মতো সৃষ্টিশীল কাজের মালিকানার অধিকার। উদাহরণ: একটি বইয়ের লেখক তার বইয়ের কপিরাইটের অধিকারী।
- পেটেন্ট: কোনো নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তির সুরক্ষার জন্য পেটেন্ট অধিকার দেওয়া হয়। উদাহরণ: কোনো কোম্পানির তৈরি নতুন যন্ত্র বা ওষুধ।
- ট্রেডমার্ক: কোনো নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার জন্য ব্যবহৃত চিহ্ন, প্রতীক বা নাম। উদাহরণ: অ্যাপল কোম্পানির লোগো।
৪. কপিরাইট আইনের সুবিধা কি কি?
কপিরাইট আইন সৃজনশীল কাজের সুরক্ষা প্রদান করে এবং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে:
- সৃজনশীলতার সুরক্ষা: কপিরাইট আইন লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ, শিল্পী, ডিজাইনার ইত্যাদির সৃষ্টিশীল কাজকে সুরক্ষা দেয়। তারা তাদের কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
- কাজের মালিকানা বজায় রাখা: সৃষ্টিশীল কাজের মালিকরা তাদের কাজের উপর পুরো অধিকার পান, এবং তাদের অনুমতি ছাড়া কেউ তাদের কাজ ব্যবহার করতে পারেন না।
- আর্থিক লাভ: কপিরাইটের মাধ্যমে কাজের মালিক তাদের কাজের স্বত্ব বিক্রি বা লাইসেন্স দিয়ে আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।
- আইনি সুরক্ষা: কপিরাইট আইনের সাহায্যে কাজের অবৈধ ব্যবহার বা নকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
- সৃজনশীলতার উন্নয়ন: কপিরাইট সুরক্ষা দেয়ায় মানুষ আরো নতুন উদ্ভাবন ও সৃষ্টিশীল কাজ করার জন্য উৎসাহিত হয়।
৫. ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি ও সাধারণ মাধ্যমের ঝুঁকি পার্থক্য লিখ।
ডিজিটাল মাধ্যম ও সাধারণ মাধ্যমের ঝুঁকি ভিন্ন ধরনের হতে পারে। এই ঝুঁকির পার্থক্যগুলো হলো:
- প্রবেশাধিকার:
- ডিজিটাল মাধ্যম: যে কেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই কোনো তথ্য বা ছবি সংগ্রহ করতে পারে, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
- সাধারণ মাধ্যম: সাধারণ মাধ্যম যেমন পত্রিকা বা টেলিভিশন ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় থাকতে হয় এবং তা সীমিত অঞ্চলে ছড়ায়।
- গোপনীয়তা:
- ডিজিটাল মাধ্যম: ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি বেশি, যেমন হ্যাকিং, ফিশিং ইত্যাদি।
- সাধারণ মাধ্যম: গোপনীয়তার ঝুঁকি তুলনামূলক কম, কারণ তথ্য সরাসরি প্রযুক্তির মাধ্যমে আদান-প্রদান হয় না।
- তথ্যের প্রচার:
- ডিজিটাল মাধ্যম: খুব দ্রুত কোনো তথ্য বা গুজব ছড়িয়ে যেতে পারে।
- সাধারণ মাধ্যম: তুলনামূলক ধীর গতিতে তথ্য ছড়ায় এবং এর নিয়ন্ত্রণ বেশি থাকে।
- সাইবার অপরাধ:
- ডিজিটাল মাধ্যম: সাইবার অপরাধ যেমন ভুয়া খবর, হ্যাকিং, আইডেন্টিটি চুরি ইত্যাদির ঝুঁকি বেশি।
- সাধারণ মাধ্যম: এই ধরনের ঝুঁকি তেমন থাকে না কারণ এটি ফিজিক্যাল মিডিয়া।
৬. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক ঝুঁকি কি কি? ব্যাখ্যা কর।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ক্ষেত্রে যেসব ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেগুলো হলো:
- তথ্য ফাঁস: ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাংকিং তথ্য ইত্যাদি হ্যাকার বা অবৈধ ব্যক্তি দ্বারা চুরি হতে পারে, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি করতে পারে।
- আইডেন্টিটি চুরি: ব্যক্তির ডিজিটাল পরিচয় বা আইডেন্টিটি চুরি করে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হতে পারে।
- সোশ্যাল মিডিয়া ঝুঁকি: সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি প্রকাশ করে অনেক সময় সাইবার বুলিং, অপব্যবহার বা হুমকির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গোপনে নজরদারি: বিভিন্ন অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা ডিভাইস গোপনে ব্যবহারকারীর কার্যক্রম ট্র্যাক করতে পারে, যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কারণ হতে পারে।
৭. কিভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়? ব্যাখ্যা কর।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কিছু সাধারণ উপায় হলো:
- হ্যাকিং: হ্যাকাররা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য বিভিন্ন সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। এটি এক ধরনের গোপনীয়তা লঙ্ঘন।
- ফিশিং আক্রমণ: মিথ্যা ইমেল বা মেসেজের মাধ্যমে মানুষকে প্রতারণা করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
- সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার: ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে তা অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে, যা গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অন্যতম মাধ্যম।
- অনুমতি ছাড়া নজরদারি: কোনো ডিভাইস বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই তার ওপর নজরদারি করা হলে তা গোপনীয়তার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়।
৮. ঝুঁকি মোকাবেলায় প্ল্যাকার্ড তৈরি করতে কি কি বিষয় বিবেচনা করতে হবে? ব্যাখ্যা কর।
ঝুঁকি মোকাবেলায় প্ল্যাকার্ড তৈরি করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে:
- সুস্পষ্ট বার্তা: প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে দেওয়া বার্তাটি সংক্ষিপ্ত, পরিষ্কার এবং সরাসরি হওয়া উচিত, যাতে মানুষ সহজেই তা বুঝতে পারে।
- চিত্র ও প্রতীক: বার্তাটি বোঝাতে সহজ ও মনোগ্রাহী চিত্র এবং প্রতীক ব্যবহার করতে হবে, যা ঝুঁকির প্রকার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে।
- রঙের ব্যবহার: উপযুক্ত রঙের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। ঝুঁকির মাত্রা বা প্রভাব বোঝাতে লাল, হলুদ বা সবুজ রঙ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা: ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা সংক্ষিপ্তভাবে প্ল্যাকার্ডে উল্লেখ করা উচিত।
- সঠিক স্থান নির্বাচন: প্ল্যাকার্ডটি এমন জায়গায় স্থাপন করা উচিত যেখানে সবাই সহজে তা দেখতে পারে, যেমন বিদ্যালয়, অফিস বা জনসমাগমের স্থান।
৯. তথ্য আদান প্রদানে তৈরি হতে পারে এমন ২ টি ঝুঁকির নাম লিখ এবং তা থেকে পরিত্রানের উপায় লিখ।
তথ্য আদান-প্রদানে কিছু সাধারণ ঝুঁকি হলো:
- তথ্য চুরি (Data Breach):
- ঝুঁকি: কোনো হ্যাকার বা অবৈধ ব্যবহারকারী আপনার তথ্য চুরি করতে পারে, যা ব্যক্তিগত বা আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- পরিত্রাণ: শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা এবং তথ্য ভাগাভাগির সময় নিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত।
- ফিশিং আক্রমণ:
- ঝুঁকি: মিথ্যা ইমেল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন পাসওয়ার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়।
- পরিত্রাণ: সন্দেহজনক ইমেল বা লিঙ্কে ক্লিক না করা এবং পরিচিত ব্যক্তির ইমেল আইডি বা URL যাচাই করা উচিত।
১০. অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট এর পার্থক্য লিখ।
- অ্যালগরিদম:
- অ্যালগরিদম হলো সমস্যার সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত লেখার আকারে থাকে, যেমন নির্দেশনা বা পদক্ষেপ।
- উদাহরণ: রান্নার রেসিপি বা কোনো অঙ্ক কষার নিয়ম।
- ফ্লোচার্ট:
- ফ্লোচার্ট হলো একটি গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা যা অ্যালগরিদমের ধাপগুলো চিত্রের মাধ্যমে দেখায়। এতে বিভিন্ন প্রতীক ও তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
- উদাহরণ: কাজের একটি প্রক্রিয়া চিত্রায়িত করা, যেমন প্রোগ্রামিংয়ের ধাপ বোঝাতে ফ্লোচার্ট ব্যবহার করা হয়।
১১. ডিজিটাল যন্ত্র কি?
ডিজিটাল যন্ত্র হলো এমন যন্ত্র যা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেটা প্রক্রিয়া করে। এটি সাধারণত বাইনারি কোড (০ এবং ১) ব্যবহার করে কাজ করে এবং বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি ডিজিটাল যন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত।
১২. অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট তৈরির শর্ত কি কি?
অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট তৈরির ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো:
- স্পষ্টতা: প্রতিটি ধাপ সহজ ও স্পষ্ট হতে হবে যাতে ব্যবহারকারী সহজেই বুঝতে পারে।
- ধাপে ধাপে ক্রমানুসার: প্রতিটি কাজের ধাপ সঠিক ক্রমে উল্লেখ করতে হবে যাতে সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া নির্ভুল হয়।
- প্রতিটি সম্ভাব্য অবস্থা কভার করা: কোনো বিশেষ সমস্যা বা শর্ত থাকলে তার জন্যও পদক্ষেপ বা শর্ত রাখা জরুরি।
- সমাপ্তি অবস্থা: অ্যালগরিদম বা ফ্লোচার্টের শেষ ধাপটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করা উচিত যাতে সমাধান প্রক্রিয়া শেষ হয়।
১৩. বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কন করে বিভিন্ন জেলা চিহ্নিত কর।
এই প্রশ্নের উত্তর হাতে আঁকা মানচিত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা চিহ্নিত করতে হবে। তবে বর্ণনামূলকভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশে ৬৪টি জেলা আছে এবং এই জেলাগুলো ৮টি বিভাগে বিভক্ত। বিভাগগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর এবং ময়মনসিংহ।
১৪. E-Mail এর সাহায্যে কি কি কাজ করা যায় ব্যাখ্যা কর।
E-mail (ইলেকট্রনিক মেইল) এর মাধ্যমে নিম্নলিখিত কাজগুলো করা যায়:
- যোগাযোগ: পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে সহজে এবং দ্রুত যোগাযোগ করা যায়। ব্যক্তিগত ও পেশাগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইমেল ব্যবহার করা হয়।
- ফাইল শেয়ারিং: ইমেলের মাধ্যমে ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি ফাইল সংযুক্ত করে শেয়ার করা যায়।
- আলোচনা ও বৈঠক নির্ধারণ: ইমেলের মাধ্যমে মিটিংয়ের সময়সূচি নির্ধারণ করা এবং মিটিং লিংক বা আমন্ত্রণ পাঠানো যায়।
- সংরক্ষণ: ইমেল সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো সময় পুরানো মেইল পড়া ও ডাউনলোড করা যায়।
১৫. E-Mail এ কিভাবে কাজ করে ব্যাখ্যা কর।
E-mail এর কাজের প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
- ইমেল রচনা: একজন প্রেরক প্রথমে একটি ইমেল আইডি তৈরি করে এবং সেই ইমেলে বার্তা লিখে।
- সার্ভারে পাঠানো: ইমেলটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রেরকের ইমেল সার্ভারে পাঠানো হয়। ইমেল সার্ভারটি বার্তাটি গ্রহণ করে এবং প্রাপকের সার্ভারে পাঠায়।
- প্রাপক গ্রহণ: প্রাপক ইমেল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার পর সেই ইমেল বার্তা তার ইনবক্সে পৌঁছায়। প্রাপক সেই বার্তা পড়তে এবং উত্তর দিতে পারে।
১৬. প্রেরকের ফোন থেকে প্রাপকের ফোনে কীভাবে তথ্য আদান প্রদান হয় ব্যাখ্যা কর।
প্রেরকের ফোন থেকে প্রাপকের ফোনে তথ্য আদান প্রদানের প্রক্রিয়াটি সাধারণত নিম্নরূপে সম্পন্ন হয়:
- তথ্য প্রেরণ: প্রেরক তার ফোনে বার্তা, ছবি বা ফাইল তৈরি করে। তারপর ব্লুটুথ, ইন্টারনেট (Wi-Fi, মোবাইল ডাটা), বা সরাসরি কেবল (USB) এর মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করে।
- সার্ভার ব্যবহার: যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়, তথ্যটি প্রেরকের সার্ভার থেকে প্রাপকের সার্ভারে পৌঁছায় এবং প্রাপক তা গ্রহণ করে।
- তথ্য গ্রহণ: প্রাপক তার ফোনে ইন্টারনেট বা অন্য কোনো সংযোগ ব্যবহার করে তথ্যটি ডাউনলোড বা গ্রহণ করে।
১৭. ডিজিটাল ও নন-ডিজিটাল নেটওয়ার্ক এর মিল ও অমিল গুলো লিখ।
মিল:
- উভয় নেটওয়ার্কেই তথ্য আদান প্রদান করা হয়।
- সংযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
অমিল:
- ডিজিটাল নেটওয়ার্ক: তথ্যকে ডিজিটাল সংকেত (০ ও ১) এ প্রক্রিয়াজাত করে, যেমন ইন্টারনেট।
- নন-ডিজিটাল নেটওয়ার্ক: তথ্যকে অ্যানালগ সংকেতের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে, যেমন রেডিও, টেলিভিশন।
- গতি: ডিজিটাল নেটওয়ার্ক তুলনামূলকভাবে দ্রুত ও নির্ভুল।
- ডেটা সঠিকতা: ডিজিটাল নেটওয়ার্কে ডেটা অধিক সঠিক, নন-ডিজিটালে তথ্য বিকৃতি হতে পারে।
১৮. স্যাটেলাইট ও অপটিক্যাল ফাইবর এর কাজ সংক্ষেপে লিখ।
স্যাটেলাইট: মহাকাশে স্থাপিত একটি যন্ত্র যা পৃথিবীর দূরবর্তী স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ ও পুনঃপ্রেরণ করে। এটি টেলিভিশন, ইন্টারনেট, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
অপটিক্যাল ফাইবর: এটি একটি কাচ বা প্লাস্টিকের তন্তু যা আলোর মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করে। এর মাধ্যমে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয় এবং বেশি ডেটা প্রেরণ করা যায়।