(উত্তরপত্র) ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪ - Class 6 Digital Technology Annual Exam Suggestion (Answer)

(উত্তরপত্র) ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪ - Class 6 Digital Technology Annual Exam Suggestion (Answer)

(উত্তরপত্র) ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪ - Class 6 Digital Technology Annual Exam Suggestion (Answer)

(উত্তরপত্র) ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪ - Class 6 Digital Technology Annual Exam Suggestion (Answer)

ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪ এর শুধুমাত্র পিডিএফ ফাইলটি পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন। এই পোস্টে ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪ এর উত্তরপত্র দেয়া হয়েছে শুধু।

আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪

১. বিদ্যালয় পত্রিকা বানানোর পদক্ষেপ

আমরা বিদ্যালয় পত্রিকা বানাতে চাইলে প্রথমে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারি:

  1. টিম গঠন: কিছু বন্ধু বা সহপাঠীকে নিয়ে একটি টিম গঠন করুন। এতে সম্পাদক, লেখক, ও ডিজাইনার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
  2. বিষয় নির্বাচন: পত্রিকার জন্য বিভিন্ন বিষয় বাছাই করুন, যেমন: বিদ্যালয়ের খবর, শিক্ষার্থীদের সাফল্য, গল্প, কবিতা, ও আঁকা।
  3. লেখা সংগ্রহ: প্রত্যেকে তাদের লিখিত কাজ পাঠাক। পত্রিকায় লেখার জন্য সুন্দর গল্প বা তথ্য সংগ্রহ করুন।
  4. সম্পাদনা: লেখা গুলোকে ভাল করে দেখে সম্পাদনা করুন। বানান ভুল ও তথ্যের সঠিকতা পরীক্ষা করুন।
  5. ডিজাইন: পত্রিকার একটি আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করুন। ছবি ও গ্রাফিক্স যোগ করুন।
  6. ছাপা: পত্রিকাটি ছাপানোর জন্য স্থানীয় একটি প্রিন্টিং শপে যান।
  7. বণ্টন: পত্রিকা বানানোর পর এটি শিক্ষকদের, বন্ধুদের, ও অভিভাবকদের উপহার হিসেবে দিতে পারেন।

২. প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশিকা

প্রতিবেদন তৈরির জন্য কিছু সহজ নির্দেশিকা নিচে দেওয়া হলো:

  1. শিরোনাম: প্রতিবেদনটির একটি পরিষ্কার শিরোনাম দিন।
  2. তারিখ: প্রতিবেদনটি লেখার তারিখ উল্লেখ করুন।
  3. প্রবর্তন: প্রথম প্যারায় বিষয়টি সংক্ষেপে উল্লেখ করুন, কেন প্রতিবেদনটি তৈরি হলো তা জানান।
  4. মূলে বিষয়: মূল প্যারায় বিস্তারিত তথ্য দিন। এখানে কী ঘটেছে, কোথায়, কখন এবং কারা অংশগ্রহণ করেছে তা উল্লেখ করুন।
  5. উপসংহার: প্রতিবেদনটির শেষে একটি সারসংক্ষেপ দিন এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা লিখুন।
  6. শ্রেণীবিভাগ: যদি দরকার হয়, তাহলে বিষয়গুলোকে শ্রেণীবিভাগ করে উপস্থাপন করুন।

৩. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের কয়েকটি ধরন

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ হলো মানুষের মেধা ও সৃষ্টি যা আইন দ্বারা সুরক্ষিত। এর কিছু ধরন হলো:

  1. কপিরাইট: লেখকদের লেখা, সঙ্গীত, ও ছবির সুরক্ষা করে। যেমন: একটি বই বা গান।
  2. পেটেন্ট: উদ্ভাবকদের আবিষ্কারের সুরক্ষা দেয়। যেমন: একটি নতুন যন্ত্র বা প্রযুক্তি।
  3. ট্রেডমার্ক: কোম্পানির নাম ও লোগো সুরক্ষা করে। যেমন: কোকা-কোলা বা অ্যাপলের লোগো।
  4. বাণিজ্য গোপনীয়তা: ব্যবসার কিছু গোপন তথ্য যেমন: রেসিপি বা ফরমুলা সুরক্ষা করে।

৪. কপিরাইট আইনের সুবিধা

কপিরাইট আইনের কিছু সুবিধা হলো:

  1. সৃষ্টি সুরক্ষা: লেখক বা শিল্পীর সৃষ্টি সুরক্ষিত থাকে, কেউ তা অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে পারে না।
  2. অর্থনৈতিক লাভ: লেখক তাদের কাজ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
  3. সৃষ্টি করার উদ্দীপনা: লেখকরা তাদের কাজ করার জন্য উৎসাহিত হয় কারণ তারা জানে তাদের কাজ সুরক্ষিত।
  4. বৈচিত্র্য বৃদ্ধি: কপিরাইটের কারণে নতুন সৃষ্টির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

৫. ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি ও সাধারণ মাধ্যমের ঝুঁকি

ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি:

  • সাইবার বুলিং: অনলাইনে কেউ কাউকে হয়রানি করতে পারে।
  • তথ্য চুরি: হ্যাকাররা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।
  • ভুয়া খবর: অনলাইনে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সাধারণ মাধ্যমের ঝুঁকি:

  • সংবাদপত্রের ভুল তথ্য: কিছু সংবাদপত্র ভুল বা অসত্য তথ্য প্রকাশ করতে পারে।
  • শারীরিক নিরাপত্তা: সশরীরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপদে পড়তে পারে।

পার্থক্য: ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনলাইন ও প্রযুক্তি ভিত্তিক, যেখানে সাধারণ মাধ্যমের ঝুঁকি শারীরিক বা প্রকাশনার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

৬. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক ঝুঁকি

ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঝুঁকি হলো এমন পরিস্থিতি যেখানে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য বা গোপনীয়তা বিপন্ন হতে পারে। কিছু ঝুঁকি হলো:

  1. অনলাইনে তথ্য ফাঁস: যখন আমরা সামাজিক মিডিয়া বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করি, তখন তা ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  2. সাইবার বুলিং: অনলাইনে কেউ আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে আমাদের হয়রানি করতে পারে।
  3. ফিশিং: প্রতারণামূলক ইমেইল বা লিংক ক্লিক করলে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে।
  4. ডেটা চুরি: হ্যাকাররা আমাদের ডিভাইসে প্রবেশ করে আমাদের গোপনীয় তথ্য চুরি করতে পারে।

৭. কিভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়?

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হওয়ার বিভিন্ন উপায় আছে:

  1. অনুমতি ছাড়া তথ্য সংগ্রহ: কিছু অ্যাপ বা ওয়েবসাইট আমাদের অনুমতি ছাড়াই আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
  2. সামাজিক মিডিয়া শেয়ার: যখন আমরা আমাদের ছবির সাথে ঠিকানা বা ফোন নম্বর শেয়ার করি, তখন এটি অন্যদের কাছে সহজেই পৌঁছে যেতে পারে।
  3. অর্থনৈতিক প্রতারণা: কেউ আমাদের পরিচয় চুরি করে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারে।
  4. ফিশিং: যদি আমরা কোন সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করি, তাহলে আমাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হতে পারে।

৮. ঝুঁকি মোকাবেলায় প্ল্যাকার্ড তৈরি

ঝুঁকি মোকাবেলায় প্ল্যাকার্ড তৈরি করতে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:

  1. স্পষ্ট বার্তা: প্ল্যাকার্ডে কী বার্তা দেওয়া হচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা উচিত।
  2. আকর্ষণীয় ডিজাইন: প্ল্যাকার্ডটি দেখতে আকর্ষণীয় হওয়া উচিত যাতে তা দ্রুত দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
  3. ঝুঁকি ও প্রতিকার: প্ল্যাকার্ডে ঝুঁকি এবং তা মোকাবেলার উপায়গুলি লিখুন।
  4. টেলিফোন নম্বর বা যোগাযোগের ঠিকানা: যদি কেউ সাহায্য চায়, তবে যোগাযোগের তথ্য উল্লেখ করুন।
  5. ছবি বা চিত্র: প্রয়োজনে ছবি বা চিত্র ব্যবহার করুন যা বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে সাহায্য করে।

৯. তথ্য আদান প্রদানে ঝুঁকি ও পরিত্রাণের উপায়

ঝুঁকি:

  1. তথ্য চুরি:
    • পরিত্রাণের উপায়:
    • নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত এবং নিয়মিত পরিবর্তন করা উচিত।
    • দুটি পদক্ষেপের যাচাই (Two-factor authentication) ব্যবহার করুন।
  2. ভুয়া তথ্য:
    • পরিত্রাণের উপায়:
    • তথ্য যাচাই করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ব্যবহার করুন।
    • কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে সেটির সত্যতা নিশ্চিত করুন।

১০. অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট এর পার্থক্য

অ্যালগরিদম:

  • এটি একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনার তালিকা যা একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন। অ্যালগরিদম সাধারণত লেখা হয় পাঠ্য আকারে।

ফ্লোচার্ট:

  • এটি একটি গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা যা অ্যালগরিদমকে চিত্রায়িত করে। ফ্লোচার্টে বিভিন্ন ধাপের মধ্যে সম্পর্ক ও প্রবাহ চিত্রিত করা হয়।

পার্থক্য:

  • অ্যালগরিদম লেখা হয় শব্দের মাধ্যমে, whereas ফ্লোচার্ট চিত্র ও চিহ্ন ব্যবহার করে বিষয়গুলো উপস্থাপন করে।
  • অ্যালগরিদম সাধারণত লম্বা ও জটিল হতে পারে, কিন্তু ফ্লোচার্ট দ্রুত ও সহজে বুঝতে সাহায্য করে।

১১. ডিজিটাল যন্ত্র

ডিজিটাল যন্ত্র হলো সেই সমস্ত যন্ত্র, যা সংখ্যা বা ডিজিটের মাধ্যমে তথ্যকে প্রক্রিয়া করে। এই যন্ত্রগুলো সাধারণত কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ক্যামেরা ইত্যাদি। ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা ছবি তোলা, ভিডিও দেখা, গেম খেলা, ইন্টারনেটে ব্রাউজ করা ইত্যাদি কাজ করতে পারি। ডিজিটাল যন্ত্রগুলো সঠিক ও দ্রুত কাজ করে এবং তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।

১২. অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট তৈরির শর্ত

অ্যালগরিদম তৈরির শর্ত:

  1. স্পষ্টতা: প্রতিটি পদক্ষেপ পরিষ্কারভাবে লেখা থাকতে হবে।
  2. শেষ হওয়া: অ্যালগরিদমের একটি নির্দিষ্ট শেষ পয়েন্ট থাকতে হবে।
  3. অনুশীলনযোগ্যতা: অ্যালগরিদমটি বাস্তবে কার্যকর হতে হবে এবং সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে হবে।

ফ্লোচার্ট তৈরির শর্ত:

  1. সঠিক চিত্র ব্যবহার: বিভিন্ন চিহ্নের মাধ্যমে ধাপগুলো বোঝাতে হবে (যেমন: বর্গাকার = পদক্ষেপ, ডায়ামন্ড = সিদ্ধান্ত)।
  2. প্রবাহ নির্দেশক: চিত্রগুলোর মধ্যে সংযোগ নির্দেশক তীর থাকতে হবে।
  3. স্বচ্ছতা: ফ্লোচার্টটি সহজে বোঝার মতো পরিষ্কার হতে হবে।

১৩. বাংলাদেশ এর মানচিত্র অঙ্কন নির্দেশিকা

(উত্তরপত্র) ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক পরীক্ষার সাজেশন ২০২৪ - Class 6 Digital Technology Annual Exam Suggestion (Answer)

১৪. E-Mail এর সাহায্যে কি কি কাজ করা যায়

E-Mail এর সাহায্যে আমরা নীচের কাজগুলো করতে পারি:

  1. বার্তা পাঠানো: E-Mail দিয়ে সহজে এবং দ্রুত অন্যদের কাছে বার্তা পাঠানো যায়।
  2. ফাইল শেয়ারিং: ছবি, ডকুমেন্ট, ভিডিও ইত্যাদি ফাইল ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সম্ভব।
  3. অফিশিয়াল যোগাযোগ: অফিসের কাজ বা আলোচনা ই-মেইলের মাধ্যমে করা যায়।
  4. নিউজলেটার ও বিজ্ঞাপন: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তথ্য পাঠাতে E-Mail ব্যবহার করে।

১৫. E-Mail কিভাবে কাজ করে

E-Mail কাজ করে নিম্নলিখিতভাবে:

  1. অ্যাকাউন্ট তৈরি: প্রথমে একজন ব্যবহারকারী একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে (যেমন: Gmail, Yahoo)।
  2. বার্তা লেখা: ব্যবহারকারী একটি নতুন বার্তা লেখে এবং প্রাপকের ই-মেইল ঠিকানা যোগ করে।
  3. পাঠানো: বার্তাটি "Send" বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে পাঠানো হয়।
  4. সার্ভার: বার্তাটি প্রথমে ই-মেইল সার্ভারে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে প্রাপকের সার্ভারে পাঠানো হয়।
  5. প্রাপনের প্রক্রিয়া: প্রাপক তাদের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে নতুন বার্তাটি দেখে।

১৬. প্রেরকের ফোন থেকে প্রাপকের ফোনে তথ্য আদান প্রদান

প্রেরকের ফোন থেকে প্রাপকের ফোনে তথ্য আদান প্রদান হয় এইভাবে:

  1. তথ্য তৈরি: প্রেরক একটি বার্তা বা ফাইল তৈরি করে।
  2. সিগন্যাল তৈরি: প্রেরক ফোন থেকে একটি সিগন্যাল তৈরি হয়, যা তথ্যের রূপান্তর ঘটায়।
  3. নেটওয়ার্ক: এই সিগন্যালটি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরিত হয়।
  4. সার্ভার: তথ্যটি প্রথমে নেটওয়ার্কের সার্ভারে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে প্রাপকের ফোনে যায়।
  5. তথ্য গ্রহণ: প্রাপক তার ফোনে তথ্য গ্রহণ করে এবং এটি দেখতে পারে।

১৭. ডিজিটাল ও নন-ডিজিটাল নেটওয়ার্ক এর মিল ও অমিল

মিল:

  1. যোগাযোগ: উভয় নেটওয়ার্কই তথ্য আদান প্রদান করে।
  2. সিস্টেম: উভয়ের মধ্যে একটি সিস্টেমের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ হয়।

অমিল:

  1. প্রযুক্তি: ডিজিটাল নেটওয়ার্কে কম্পিউটার ও টেকনোলজি ব্যবহার হয়, কিন্তু নন-ডিজিটাল নেটওয়ার্কে কেবল ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার হয়।
  2. গতি: ডিজিটাল নেটওয়ার্ক দ্রুত তথ্য প্রেরণ করতে পারে, যেখানে নন-ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ধীর।

১৮. স্যাটেলাইট ও অপটিক্যাল ফাইবার এর কাজ

স্যাটেলাইট: স্যাটেলাইট হলো একটি যন্ত্র যা পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে ঘোরে। এটি টেলিভিশন, ফোন কল, ও ইন্টারনেটের মতো যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্যাটেলাইট দূরের অঞ্চলগুলিতে তথ্য পৌঁছাতে সহায়তা করে।

অপটিক্যাল ফাইবার: অপটিক্যাল ফাইবার হলো একটি সূক্ষ্ম কাঁচের তার যা লেজারের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করে। এটি উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। অপটিক্যাল ফাইবার খুব বেশি তথ্য দ্রুততার সাথে পাঠাতে পারে, এবং এর মাধ্যমে দূরের জায়গায়ও পরিষ্কার সিগন্যাল পৌঁছায়।

১. ক. ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিভাবে স্থান নির্ণয় করা যায়

উত্তর: ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্থান নির্ণয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় উপায় হলো:

  1. গুগল ম্যাপস: আপনি গুগল ম্যাপসে যেতে পারেন এবং সেখানে আপনার অবস্থান বা যেখান থেকে যাত্রা শুরু করতে চান সেটি টাইপ করতে পারেন। এটি আপনাকে সেই স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে।
  2. জিপিএস প্রযুক্তি: অধিকাংশ স্মার্টফোনে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) থাকে। এটি আপনার বর্তমান অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সাহায্য করে। আপনি আপনার ফোনের ম্যাপ অ্যাপ্লিকেশন খুলে সহজেই আপনার স্থান শনাক্ত করতে পারেন।
  3. স্থানীয় সার্ভিস অ্যাপ: যেমন, "ওয়াজ" বা "ম্যাপকুইস্ট" ব্যবহার করে আপনি রাস্তার পরিস্থিতি ও ভ্রমণের সময় সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন। এই অ্যাপগুলো আপনাকে রিয়েল-টাইম ট্রাফিক আপডেটও দেয়।
  4. সামাজিক মিডিয়া: আপনি আপনার অবস্থান সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে আপনার অবস্থান ও মানচিত্রের লিংক পাওয়া যায়।

খ. মানচিত্র দেখে স্থান নির্ণয় ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্থান নির্ণয়ে কোনটি সহজতর

উত্তর: ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্থান নির্ণয় অনেক সহজ ও দ্রুত। কারণ:

  1. তথ্য আপডেটেড: ইন্টারনেটে তথ্য সর্বদা আপডেট থাকে, তাই আপনি নতুন রাস্তা বা পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারেন।
  2. দিকনির্দেশনা: ইন্টারনেট ব্যবহার করলে আপনি লাইভ দিকনির্দেশনা পেতে পারেন, যা আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
  3. সীমিত জ্ঞান প্রয়োজন: মানচিত্র পড়তে কিছুটা দক্ষতা প্রয়োজন, কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজে নির্দেশনা পেতে পারেন।

মানচিত্র ব্যবহার করা কিছুটা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে যারা মানচিত্র পড়তে অভ্যস্ত নন। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজে স্থান নির্ণয় করা সম্ভব।

২. ক. ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমের নেটওয়ার্ক অঙ্কন করো

উত্তর:

[আদর (প্রেরক)] → [স্মার্টফোন] → [মোবাইল নেটওয়ার্ক] → [সার্ভার] → [জিয়ান (প্রাপক)] → [স্মার্টফোন]
  1. আদর (প্রেরক): বার্তা লেখা।
  2. স্মার্টফোন: বার্তাটি প্রেরণ করার জন্য ডিভাইস।
  3. মোবাইল নেটওয়ার্ক: বার্তাটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠানো।
  4. সার্ভার: বার্তাটি প্রাপকের সার্ভারে পৌঁছানো।
  5. জিয়ান (প্রাপক): বার্তা গ্রহণকারী।
  6. স্মার্টফোন: জিয়ানের ফোনে বার্তাটি দেখা।

খ. "ক্ষুদেবার্তাটি প্রেরক থেকে প্রাপক পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে এসেছে" - উক্তিটি বিশ্লেষণ করো

উত্তর: এই উক্তিটি একটি বার্তা প্রেরণের প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা করে। এটি বোঝায় যে:

  1. প্রেরকের কাজ: প্রথমে প্রেরক বার্তা তৈরি করে এবং সেটি পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করে। এখানে প্রেরক আদর।
  2. টেকনিক্যাল প্রক্রিয়া: বার্তাটি একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্কে পৌঁছায়। এখানে প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্যের স্থানান্তর ঘটে।
  3. সার্ভার মাধ্যমে যোগাযোগ: বার্তাটি প্রাপকের ফোনে পৌঁছানোর জন্য একটি সার্ভারে যায়। সার্ভার হলো সেই জায়গা যেখানে বার্তাগুলো সাময়িকভাবে সংরক্ষিত থাকে।
  4. প্রাপকের কাজ: শেষ পর্যন্ত, প্রাপক (জিয়ান) তার ফোনে বার্তাটি গ্রহণ করে এবং তা দেখে।

এভাবে, বার্তাটি বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে প্রেরক থেকে প্রাপকের কাছে পৌঁছায়। এটি প্রমাণ করে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরত্ব বা সময়ের বাধা কাটিয়ে যোগাযোগ কত সহজে করা যায়।

৩. ক. সাগরের তলদেশে স্থাপিত যোগাযোগ মাধ্যমটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো

উত্তর: সাগরের তলদেশে স্থাপিত যোগাযোগ মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার কেবল। এই কেবলটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম কাঁচের তৈরি এবং এর মধ্যে আলো প্রবাহিত হয়। এই অপটিক্যাল ফাইবার কেবলটি সাগরের গভীর তলদেশে স্থাপন করা হয় যাতে মহাদেশের মধ্যে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।

  • গতি: অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে তথ্য আলোর গতিতে চলে, যা খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে সক্ষম।
  • দূরত্ব: এটি দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে, তাই এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে যোগাযোগ স্থাপন করতে খুব কার্যকর।
  • ক্ষতি: মাঝেমধ্যে হাঙরের কামড় বা অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর কারণে এই কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা তথ্য আদান-প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি করে।

খ. উদ্দীপকের যোগাযোগ মাধ্যমটি ছাড়াও আর কী ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করি? দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো

উত্তর: অপটিক্যাল ফাইবার ছাড়াও যোগাযোগের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। দুইটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ:

বিষয় অপটিক্যাল ফাইবার মোবাইল নেটওয়ার্ক
গতি আলোর গতিতে দ্রুত অপেক্ষাকৃত ধীর
দূরত্ব দীর্ঘ দূরত্বে কার্যকর সিগন্যাল শক্তি অনুযায়ী সীমিত
প্রযুক্তি কাঁচের তার বেতার প্রযুক্তি
ব্যবহার আন্তর্জাতিক যোগাযোগে স্থানীয় ও ব্যক্তিগত যোগাযোগে
ক্ষতি সামুদ্রিক প্রাণীর কারণে ক্ষতি আবহাওয়া বা বাধার কারণে ক্ষতি

অতএব, অপটিক্যাল ফাইবার আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য খুবই কার্যকর, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক সাধারণ যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়।

৪. ক. রোবটের কার্যক্রমে অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট এর ব্যবহার লক্ষণীয়। মতামত দাও

উত্তর: আমিনের তৈরি রোবটের কার্যক্রমে অ্যালগরিদম এবং ফ্লোচার্ট উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

  • অ্যালগরিদম: এটি একটি ধাপবিহীন নির্দেশিকা, যা রোবটের কার্যক্রম বুঝতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
    1. মানুষের ভয়েস ইনপুট নেয়া।
    2. ইনপুট নেয়া শেষ হলে, সংখ্যা দুটি নির্ধারণ করা।
    3. যোগফল বা বিয়োগফল বের করা।
    4. ফলাফল প্রদর্শন করা।
  • ফ্লোচার্ট: এটি অ্যালগরিদমের গ্রাফিকাল রিপ্রেজেন্টেশন। ফ্লোচার্টে প্রতিটি ধাপের চিত্র এবং সংযোগ থাকে, যা কার্যক্রমকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।

খ. আমিনের তৈরিকৃত রোবটটির কার্যক্রমের একটি ফ্লোচার্ট তৈরি করো

[শুরু]
|
[ভয়েস ইনপুট নাও]
|
[ইনপুট সম্পন্ন কি?]
/ \
Yes No
| |
[সংখ্যা বিশ্লেষণ] [পুনরায় ইনপুট নাও]
|
[যোগফল বা বিয়োগফল বের করো]
|
[ফলাফল প্রদর্শন]
|
[শেষ]

৫. ক. দৃশ্যপটের নির্দেশনা অনুযায়ী হেল্পারের একইভাবে বার বার বক্সে ব্যাগ রাখা কী ধরনের কাজ? পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো

উত্তর: হেল্পারের একইভাবে বার বার বক্সে ব্যাগ রাখা হলো পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ। এটি একটি প্রক্রিয়া যেখানে একই কাজ বারবার করা হয়। পাঠ্যবইয়ের আলোকে, এই ধরনের কাজকে কার্যক্রমের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা সিস্টেম্যাটিক এবং সংগঠিত পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। এটি কার্যকরী ও দ্রুত কাজ করার জন্য সহায়ক।

খ. একই কাজ বার বার করার পদ্ধতি প্রয়োগ করে দৃশ্যপটের আলোকে একটি ফ্লোচার্ট তৈরি করো

[শুরু]
|
[ব্যাগ নাও]
|
[ব্যাগ বক্সে রাখো]
|
[আরও ব্যাগ আছে?]
/ \
Yes No
| |
[আরেকটি ব্যাগ নাও] [বাসে উঠে বসো]
| |
[ফ্লো শেষ] [ফ্লো শেষ]

৬. ক. দৃশ্যপটে বর্ণিত পিনকোড ও পাসওয়ার্ড এর গুরুত্ব বলো

উত্তর: পিনকোড ও পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব অনেক। এগুলো হলো আপনার অ্যাকাউন্টের সুরক্ষার প্রথম স্তর।

  • সুরক্ষা: পিনকোড ও পাসওয়ার্ড হলো গোপন কোড যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং অর্থকে সুরক্ষিত রাখে। যদি কেউ আপনার পিনকোড বা পাসওয়ার্ড জানে, তাহলে তারা আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারে।
  • অর্থনৈতিক নিরাপত্তা: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পিনকোড আপনার অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এটি ছাড়া কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে লেনদেন করতে পারে না।
  • গোপনীয়তা: পিনকোড ও পাসওয়ার্ড আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করে, যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, যোগাযোগের তথ্য ইত্যাদি।

খ. ফাহিমের অভিজ্ঞতার আলোকে আসিফ পিন নম্বর শেয়ার করার ফলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারতো?

উত্তর: ফাহিমের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, আসিফ যদি তার পিন নম্বর শেয়ার করত, তাহলে তার নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো হতে পারতো:

  • অর্থনৈতিক ক্ষতি: আসিফের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা চুরি হয়ে যেতে পারতো। প্রতারকরা পিন নম্বর ব্যবহার করে সহজেই অর্থ স্থানান্তর করতে পারে।
  • ব্যক্তিগত তথ্যের ক্ষতি: পিন নম্বর শেয়ার করার ফলে আসিফের ব্যক্তিগত তথ্যও লিক হয়ে যেতে পারে। প্রতারকরা এই তথ্য ব্যবহার করে আরও ক্ষতি করতে পারে।
  • মানসিক চাপ: অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা হারানোর ফলে আসিফ মানসিকভাবে অসস্তি বোধ করতে পারে। এটি তার পড়াশোনা ও দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।
  • আইনগত সমস্যা: যদি প্রতারকরা আসিফের নাম ব্যবহার করে কিছু বেআইনি কাজ করে, তাহলে আসিফকে তা মোকাবেলা করতে হতে পারে।

৭. ক. আরিয়ানের ইমেইলে অদ্ভুত মেসেজ আসার কারণ কী হতে পারে?

উত্তর: আরিয়ানের ইমেইলে অদ্ভুত মেসেজ আসার কিছু কারণ হতে পারে:

  • স্প্যাম: সে যে ওয়েবসাইটে কাজ করছিল, সেখানে তার তথ্য শেয়ার করার ফলে স্প্যাম মেসেজ আসা শুরু হয়েছে। অনেক সময় ভুয়া ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহারকারীদের ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করে।
  • ফিশিং: ওয়েবসাইটটি প্রতারণামূলক হতে পারে, যেখানে তারা ইমেইল বা অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে। এতে ভুয়া অফার ও লিঙ্ক পাঠানো হয়।
  • ডেটা বিক্রি: যদি সে অন্যদের সাথে তথ্য শেয়ার করে থাকে, তাহলে সেগুলো বিক্রি করা হতে পারে, যা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে পৌঁছায়।

খ. অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের তথ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়া সম্ভব এবং সেগুলো থেকে কীভাবে সাবধান থাকা যায়?

উত্তর: অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে নিম্নলিখিত ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়া সম্ভব:

  • ব্যক্তিগত তথ্য চুরি: অনলাইন কাজের জন্য পাসওয়ার্ড, ইমেইল, ফোন নম্বর দিতে হতে পারে।
    সাবধানতা: পরিচিত ও নিরাপদ সাইটে কাজ করুন এবং কখনও গোপন তথ্য শেয়ার করবেন না।
  • ভুয়া অফার: অনেক সময় বিভিন্ন প্রতারণামূলক অফার দেখা যায়।
    সাবধানতা: সন্দেহজনক অফারগুলো এড়িয়ে চলুন এবং সঠিক তথ্য যাচাই করুন।
  • ম্যালওয়্যার: কিছু সাইটে কাজ করার ফলে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হতে পারে।
    সাবধানতা: নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।

৮. ক. মিরার তৈরিকৃত স্থাপত্যের নকশা কী ধরনের সম্পদ? ব্যাখ্যা করো

উত্তর: মিরার তৈরিকৃত স্থাপত্যের নকশা হলো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ এমন একটি সম্পদ যা মানুষের চিন্তা, কল্পনা ও সৃষ্টিশীলতা দ্বারা তৈরি হয়।

  • স্বত্ব: মিরার নকশাটি তার নিজস্ব সৃষ্টি, তাই এটি তার আইনি অধিকার ও স্বত্বাধিকার রক্ষা করে।
  • অর্থনৈতিক মূল্য: নকশা নকল হলে তার আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। সঠিকভাবে রক্ষা করা হলে এটি মিরার জন্য অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হতে পারে।
  • সৃজনশীলতা: নকশাটি মিরার সৃজনশীলতার প্রতিফলন, যা তার শিল্পী হিসেবে পরিচিতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

খ. প্রতিষ্ঠানটির তার নকশা নকল করে অনুরূপ একটি স্থাপত্য তৈরি বন্ধ করতে মিরা কী পদক্ষেপ নিতে পারে? বিশ্লেষণ করো

উত্তর: মিরা নকশাটি নকল হওয়া রোধ করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে পারে:

  1. আইনি পদক্ষেপ: মিরা আইনজীবীর সাহায্যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। এটি নকশার কপিরাইট আইনের অধীনে করা যেতে পারে।
  2. শিকারী চিঠি পাঠানো: প্রথমে মিরা প্রতিষ্ঠানটিকে একটি শিকারী চিঠি পাঠাতে পারে, যাতে জানানো হয় যে তারা তার নকশা নকল করছে। এটি আইনি পদক্ষেপের প্রাথমিক ধাপ।
  3. তথ্য সংগ্রহ: প্রতিষ্ঠানটির নকশা নকলের প্রমাণ সংগ্রহ করা জরুরি। ছবিসহ নথিপত্র প্রস্তুত করে তা আইনজীবীর কাছে জমা দিতে হবে।
  4. পাবলিক অবগতকরণ: মিরা মিডিয়ার মাধ্যমে এই ঘটনা জানাতে পারে, যাতে সাধারণ মানুষ বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে পারে।
  5. নকশা পেটেন্ট করানো: ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে মিরা তার নকশাটি পেটেন্ট করাতে পারে, যাতে অন্য কেউ সেটি ব্যবহার করতে না পারে।

৯. ক. পাট কী ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ? ব্যাখ্যা করো

উত্তর: পাট হলো প্রাকৃতিক ও কৃষি ভিত্তিক বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আমাদের দেশের ঐতিহ্যের একটি অংশ। পাটের গুরুত্ব নিম্নরূপ:

  • অর্থনৈতিক মূল্য: পাট বাংলাদেশে একাধিক শিল্পে ব্যবহৃত হয়, যেমন জুট মিলে, ব্যাগ ও কাপড় তৈরিতে। এটি দেশের রপ্তানি পণ্যও।
  • গবেষণা ও উদ্ভাবন: নতুন প্রজাতির পাট আবিষ্কার একটি গবেষণার ফল, যা বিজ্ঞানী ও কৃষকদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। এটি দেশের কৃষি উন্নয়নে সহায়ক।
  • সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্য: পাটের চাষ স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার সাথে জড়িত এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি করে।

খ. উদ্দীপকে বিজ্ঞানীর পাটের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার ও জাহিদের বাবার পাট চাষে গবেষণা নির্ভর বই রচনা-এই দুই ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো

বিষয় বিজ্ঞানীর পাটের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার জাহিদের বাবার পাট চাষে গবেষণা নির্ভর বই রচনা
প্রকার উদ্ভাবনী সম্পদ লেখনী বা প্রকাশনার সম্পদ
গবেষণার উদ্দেশ্য নতুন প্রজাতির উন্নয়ন পাট চাষের উন্নতি ও কৃষকদের জন্য নির্দেশনা
অর্থনৈতিক প্রভাব কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানো কৃষকদের সচেতন করা ও তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা
সামাজিক প্রভাব নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি

এই তুলনা থেকে বোঝা যায় যে, উভয়ই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ, কিন্তু তাদের লক্ষ্য ও প্রভাব ভিন্ন।

১০. ক. দিদারের তৈরি করা লোগোটি কী ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ? ব্যাখ্যা করো

উত্তর: দিদারের তৈরি করা লোগো হলো কপিরাইট সম্পদ। এটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ:

  • স্বত্বাধিকার: লোগোটি দিদারের সৃষ্টির ফল, তাই এটি তার স্বত্ত্বাধিকারকে বোঝায়।
  • সৃজনশীলতা: লোগোটি দিদারের সৃজনশীল চিন্তার প্রতিফলন, যা তার দক্ষতা এবং পরিচিতিকে তুলে ধরে।
  • অর্থনৈতিক মূল্য: লোগোটি দিদারের ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কোম্পানির ব্র্যান্ড পরিচিতি এবং বাজারে অবস্থানকে প্রভাবিত করে।

খ. দিদারের ডিজাইন করা লোগোটি পুনরায় কপি হওয়ার থেকে রক্ষার জন্য সে কী পদক্ষেপ নিতে পারে? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও

উত্তর: দিদার তার ডিজাইন করা লোগোটি রক্ষা করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে পারে:

  1. কপিরাইট নিবন্ধন: প্রথম পদক্ষেপ হলো তার লোগোকে কপিরাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা। এটি তার সৃষ্টির স্বত্বাধিকারকে সুরক্ষিত করবে।
  2. আইনি পদক্ষেপ: যদি লোগোটি কপি হয়, তাহলে দিদার একটি আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারে এবং আদালতে মামলা করতে পারে।
  3. শিকারী চিঠি পাঠানো: দিদার প্রতারণামূলক ব্যবহার বন্ধ করতে অভিযুক্ত কোম্পানিকে শিকারী চিঠি পাঠাতে পারে, যাতে তাদের লোগো ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়।
  4. জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি: দিদার তার লোগোর অনন্যতা এবং গুরুত্ব তুলে ধরতে পারে, যাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়।
  5. সামাজিক মিডিয়া প্রচার: দিদার তার লোগো ও কোম্পানির কাজের প্রচার করতে সামাজিক মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন করতে পারে, যাতে সবার নজর থাকে।

এভাবে, দিদার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার লোগোকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।

১১.

ক. আরমানের ভাই যেই দুইটি মাধ্যমের কথা জানালো তা কী কী? উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা কর।

আরমানের ভাই সম্ভবত দুটি মাধ্যমের কথা বলেছে:

  1. মুদ্রিত মাধ্যম:

    যেমন খবরের কাগজ। এতে দেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনার তথ্য দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, দৈনিক পত্রিকা বা ম্যাগাজিন।

  2. ডিজিটাল মাধ্যম:

    যেমন ইন্টারনেট। এখানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং নিউজ অ্যাপ থেকে তথ্য পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ফেসবুক, টুইটার বা নিউজ ওয়েবসাইট।

খ. উক্ত দুই মাধ্যমে কিভাবে তথ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে তা ব্যাখ্যা কর।

  1. মুদ্রিত মাধ্যম:
    • তথ্যের সঠিকতা: কখনও কখনও খবরের কাগজে ভুল তথ্য প্রকাশিত হতে পারে, যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
    • পক্ষপাতিত্ব: কিছু সংবাদপত্র রাজনৈতিক বা অন্যান্য পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতে পারে, ফলে তথ্যের সঠিকতা প্রভাবিত হয়।
  2. ডিজিটাল মাধ্যম:
    • ভুয়া তথ্য: ইন্টারনেটে ভুয়া তথ্য ও গুজব ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। অনেক অজানা সোর্স থেকে তথ্য পাওয়ার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে।
    • নিরাপত্তা সমস্যা: অনলাইন তথ্য সংগ্রহের সময় ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

১২.

ক. ব্যক্তিগত তথ্য বলতে কী বুঝ? কোনগুলো ব্যক্তিগত গোপন তথ্যের উদাহরণ?

ব্যক্তিগত তথ্য বলতে বোঝানো হয় সেই তথ্য যা একজন ব্যক্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়। উদাহরণস্বরূপ:

  • নাম
  • ঠিকানা
  • ফোন নম্বর
  • স্কুলের নাম
  • জন্ম তারিখ

ব্যক্তিগত গোপন তথ্য হিসেবে উদাহরণ হতে পারে:

  • ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য
  • পাসওয়ার্ড
  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর

খ. ফাইয়াজের মায়ের দেওয়া সতর্কতা তথ্য নিরাপত্তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

ফাইয়াজের মায়ের সতর্কতা তথ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর কিছু কারণ হলো:

  1. সুরক্ষা: অপরিচিতদের সাথে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ফলে ফাইয়াজের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। অপরাধীরা এই তথ্য ব্যবহার করে ক্ষতি করতে পারে।
  2. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা: গোপন তথ্য ফাঁস হলে তা তার ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।
  3. আর্থিক নিরাপত্তা: ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চুরি হতে পারে। ফলে তার আর্থিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
  4. সচেতনতা: ফাইয়াজের মা তাকে সতর্ক করে একটি শিক্ষা দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে তার সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং অন্যদের সাথে নিরাপদে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

১৩. রিফাত এবং সিফাত

ক. ফ্লোচার্ট এ ধাপ যত কম হবে কাজ সম্পাদনা তত সহজ হবে। তুমি কি একমত? ব্যাখ্যা করো।

হ্যাঁ, আমি একমত। ফ্লোচার্টে ধাপ যত কম হবে, কাজ সম্পাদনাও তত সহজ হবে। এর কারণ হলো:

  1. সহজ বোঝা: কম ধাপের ফ্লোচার্ট সহজে বোঝা যায়, যা কাজে গতি আনে।
  2. সমস্যা কমানো: যত বেশি ধাপ হবে, তত বেশি জটিলতা সৃষ্টি হবে। কম ধাপের ফ্লোচার্টে ভুল করার সুযোগ কম থাকে।
  3. দ্রুততা: কম ধাপের মাধ্যমে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, ফলে সময় সাশ্রয় হয়।
  4. স্পষ্টতা: কাজের প্রতিটি ধাপ পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত করা থাকে, যা কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

খ. দৃশ্যপটের ঘটনা অনুযায়ী কে বেশি সহজে স্কুলে পৌঁছায়? ফ্লোচার্ট এঁকে বিশ্লেষণ করো।

রিফাতের পথ অনেকগুলো রাস্তা পার হতে হয়, কিন্তু সিফাত সরাসরি প্রধান রাস্তা ধরে যায়। তাই সিফাত সহজে এবং দ্রুত স্কুলে পৌঁছায়।

ফ্লোচার্ট:

[রিফাতের পথ]
|
[বাসা থেকে বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া]
|
[পার্কের ভেতর দিয়ে হাঁটা]
|
[বড় রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে পৌঁছানো]
[সিফাতের পথ]
|
[বাসা থেকে সরাসরি প্রধান রাস্তা ধরে যাওয়া]
|
[স্কুলে পৌঁছানো]

বিশ্লেষণ:

  • রিফাতের পথে তিনটি ধাপ রয়েছে, যেখানে সিফাতের পথে মাত্র দুটি ধাপ রয়েছে।
  • সুতরাং, সিফাত বেশি সহজে এবং দ্রুত স্কুলে পৌঁছায়।

১৪. ফোন করার প্রক্রিয়া

ক. ফ্লোচার্ট কী? ফ্লোচার্ট এর সুবিধাগুলো লিখো।

ফ্লোচার্ট হলো একটি গ্রাফিকাল উপস্থাপনামূলক মাধ্যম, যা কোনো প্রক্রিয়া বা কাজের ধাপগুলোকে প্রদর্শন করে। এটি সাধারণত আকার এবং তীরচিহ্ন দিয়ে তৈরি করা হয়, যা একটি ধাপ থেকে অন্য ধাপে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

ফ্লোচার্টের সুবিধাগুলো:

  1. স্পষ্টতা: ফ্লোচার্ট কাজের ধাপগুলোকে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে, যা বোঝা সহজ করে।
  2. সমস্যা চিহ্নিতকরণ: কোনো প্রক্রিয়ায় সমস্যা হলে তা দ্রুত চিহ্নিত করা যায়।
  3. সংক্ষেপে উপস্থাপন: জটিল তথ্যকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা যায়, যা সহজে স্মরণ করা যায়।
  4. গতি বৃদ্ধি: কাজের ধাপগুলো পরিষ্কার হলে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।

খ. দৃশ্যপটের ঘটনা প্রবাহের একটি ফ্লোচার্ট অংকন করো।

ফ্লোচার্ট:

[ফোন করার প্রক্রিয়া]
|
[বাবার ফোন নম্বর ডায়াল করা]
|
---------------------------
| |
[বাবা ফোন ধরলেন] [বাবা ফোন ধরেননি]
| |
[বাবার সাথে কথা বলা] [মাকে ফোন করা]
|
[মায়ের সাথে কথা বলা]

১৫.

ক. রবিনের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যাখ্যা করো।

রবিনের যোগাযোগ নেটওয়ার্কটি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে। এটি নিম্নলিখিত উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করে:

  1. এসএমএস গ্রুপ: রবিন তার বিজ্ঞান স্যারের কাছে একটি এসএমএস পাঠায়, যা ডিজিটাল যোগাযোগের একটি মাধ্যম।
  2. ভিডিও কল: স্যার রবিনকে ভিডিও কল করে বিষয়টি বোঝান। এটি যোগাযোগের একটি দ্রুত ও কার্যকরী উপায়।

এভাবে রবিন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

খ. রবিনের যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সাথে নন-ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মধ্যে মিল-অমিল বিশ্লেষণ করো।

বিষয় রবিনের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক (ডিজিটাল) নন-ডিজিটাল যোগাযোগ
মাধ্যম এসএমএস, ভিডিও কল মুখোমুখি আলোচনা, ফোন কল
গতি দ্রুত (তথ্য দ্রুত প্রাপ্তি) সময় সাপেক্ষ (মুখোমুখি যোগাযোগ)
দূরত্ব যে কোনো জায়গা থেকে যোগাযোগ করা যায় সীমাবদ্ধ (একটি নির্দিষ্ট জায়গায়)
প্রযুক্তি প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজন প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াই যোগাযোগ

মিল: উভয় ক্ষেত্রেই যোগাযোগ স্থাপন হচ্ছে এবং তথ্য বিনিময় হচ্ছে।

অমিল: ডিজিটাল যোগাযোগ দ্রুত, কিন্তু নন-ডিজিটাল যোগাযোগ সরাসরি ও ব্যক্তিগত।

১৬.

ক. বড় বোনের ফ্লোচার্টের বিষয়গুলো কী কী বর্ণনা করো।

বড় বোনের ফ্লোচার্টে সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থাকবে:

  1. ই-মেইল অ্যাকাউন্টে লগইন: প্রথমে হারুনকে ই-মেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করতে হবে।
  2. নতুন ই-মেইল লেখা: এরপর নতুন ই-মেইল তৈরি করতে হবে।
  3. প্রাপকের ঠিকানা উল্লেখ করা: বাবার ই-মেইল ঠিকানা লিখতে হবে।
  4. বিষয়বস্তু লেখা: ই-মেইলের বিষয়বস্তু এবং বার্তা লিখতে হবে।
  5. ই-মেইল পাঠানো: সব তথ্য সঠিকভাবে লিখে ই-মেইল পাঠাতে হবে।
  6. ই-মেইল পাঠানো নিশ্চিতকরণ: ই-মেইল পাঠানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

খ. ই-মেইল কীভাবে প্রাপকের কাছে পৌঁছায় তা বিশ্লেষণ করো।

ই-মেইল প্রাপকের কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া:

  1. লগইন: প্রথমে প্রেরক ই-মেইল সার্ভারে লগইন করে।
  2. বার্তা তৈরি: প্রেরক নতুন ই-মেইল লিখে প্রাপকের ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করে।
  3. ই-মেইল সার্ভার: ই-মেইলটি প্রেরকের সার্ভার থেকে প্রেরিত হয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাপকের সার্ভারে পৌঁছে যায়।
  4. প্রাপক চেক: প্রাপক তার ই-মেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করে নতুন ই-মেইল চেক করে।
  5. বার্তা পড়া: প্রাপক ই-মেইলটি খুলে বার্তা পড়ে এবং প্রয়োজন হলে প্রতিক্রিয়া জানায়।

এই প্রক্রিয়ায় ই-মেইল দ্রুত প্রাপকের কাছে পৌঁছায় এবং এটি যোগাযোগের একটি সহজ উপায়।

নিচের বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।


Post a Comment